ছাগলে খেল গাছ, দু'কান ছেঁড়া গেল মালিকের!
আহতদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশীর বাড়ির ছিমগাছ খেয়ে ফেলেছে ছাগল। এমন সাধারণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ। এবং তা থেকে সংঘর্ষ বাঁধে। কান ছিঁড়ে লুট করা হল কানের সোনার গহনা ও গলার হার। আহত ছাগল মালিকের পরিবারের মা ও মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার আলতাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের রাঙামাটি গ্রামে। আহতদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে, পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- মুখে প্লাস্টিক বেঁধে টিকটক ভিডিয়ো করতে গিয়ে মৃত্যু মালদার যুবকের
উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার আলতাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের রাঙামাটি গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল হকের বাড়ির ছাগল প্রতিবেশী সোয়াবুলের বাড়ির ছিমগাছ খেয়ে ফেলে। সোয়াবুলের পরিবার ছাগলটিকে ধরে বেঁধে আটকে রাখে। এরপর ছাগল মালিক ইসরাইল হকের স্ত্রী বিষ্ণু খাতুন ও মেয়ে শুকতারা খাতুন ছাগলটিকে ফেরত আনতে গেলে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বেধে যায়। অভিযোগ, সোয়াবুলের পরিবার বিষ্ণু খাতুন ও শুকতারা খাতুনের উপর চড়াও হয়। তাদের ব্যাপক মারধর করে তাদের গলায় ও কানে থাকা সোনার গহনা লুট করে নেয়। অভিযোগ কানের সোনার গহনা টেনে নেওয়ার সময় মায়ের দু'কান ছিড়ে যায়, গুরুতর আহত হন মা বিষ্ণু খাতুন। সোয়াবুলের পরিবারের বিরুদ্ধে করনদিঘী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে করনদিঘি থানা।