নিরর্থক লকডাউন’, পুণ্যার্জনে অষ্টমী স্নানে ভিড়ে ঠাসাঠাসি কোচবিহারের নদী

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা উদ্যোগী রাজ্যের একাংশ মানুষ?  বুধবার সকালে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যে দৃশ্য দেখা গেল, সে প্রশ্ন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।

Updated By: Apr 1, 2020, 03:47 PM IST
 নিরর্থক লকডাউন’, পুণ্যার্জনে অষ্টমী স্নানে  ভিড়ে ঠাসাঠাসি কোচবিহারের নদী

নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা-আতঙ্কে রাজ্য। পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে এতটুকুও খামতি রাখছে না প্রশাসন। মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আদৌ কতটা সচেতন হয়েছেন রাজ্যবাসী? করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা উদ্যোগী রাজ্যের একাংশ মানুষ?  বুধবার সকালে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যে দৃশ্য দেখা গেল, সে প্রশ্ন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।

 

 

বিশ্ব এখন করোনার করাল গ্রাসে। মঙ্গলবার পর্যন্তও পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ছিল ২। বুধবার তা বেড়ে দাঁড়াল তিনে। এদিন সকালে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার রোলবিক্রেতার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত দুদিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমগুলিতে সে খবর। কিন্তু তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই কোচবিহারের একাংশ বাসিন্দার।

ফের কামড় করোনার, মৃত্যু হল ৫৭ বছর বয়সী বেলঘড়িয়ার রোল বিক্রেতার

কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙার নদীগুলিতে ধূম লেগেছে অষ্টমী স্নানের। দেখে বোঝবার উপায় নেই, বিশ্ব জুড়ে এমন বিপর্যয়। এই মানুষগুলো সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন নদীতে। পুণ্যস্নানে ব্যস্ত তাঁরা! অবাক হওয়ার মতোই চিত্রটা। যেখানে চিকিত্সক, প্রশাসন বারবার সচেতন করছেন বাড়ি থেকে না বেরনোর জন্য, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য,  সেখানে ঠিক উল্টো ছবিটাই দেখা গেল কোচবিহারের বিভিন্ন নদীতে। বহু মানুষ গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে আছেন নদীবক্ষে কেবল স্নান করবেন বলে! কোচবিহারের গদাধর থেকে শুরু করে মাথাভাঙার মানসাই কিংবা তুফানগঞ্জের রায়ডাক নদীতে একই চিত্র। 

‘লকডাউন’ শব্দটার আক্ষরিত অর্থটাই হয়তো পরিষ্কার নয় তাঁদের কাছে। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন আরও একটি বিষয়ে। এত মানুষ যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে ভিড় জমিয়েছেন, সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের কী ভূমিকা? কেনই বা স্থানীয় প্রশাসন এই অসেচতনতামূলক কাজকে প্রশ্রয় দিল? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

.