Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে প্রতারণা? নার্সিংহোমে ১৬ হাজার টাকা খোয়া গেল রোগীর পরিবারের
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার ধাঁচে এ রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ মেলে এই প্রকল্পে।
মনোজ মণ্ডল: স্বাস্থ্য়কার্ডে এবার প্রতারণা? চিকিৎসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ? থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী আইজুল মণ্ডল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙারই বাসিন্দা। স্থানীয় আওয়ালসিদ্ধি এলাকার একটি নার্সিংহোমে স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, আইজুলের কাছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানতে চান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে কিনা। এরপর তাঁর কাছ থেকে কার্ডটি নিয়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে আঙুলের ছাপও। কেন? নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, আইজুলের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাকি সমস্যা আছে! কার্ডটি রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। দিন দশেক পর যখন ফের ওই নার্সিংহোমে যান, তখন আইজুলকে বলা হয়, তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা নেই! চিকিৎসা করা যাবে না।
তারপর? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আইজুল। জানতে পারেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়ার চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে ১৬ হাজার টাকা কেটে নিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ! এরপরই আমডাঙা থানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি। স্রেফ আইজুল একা নন, ওই নার্সিংহোমে দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বহুবার চেষ্টা করেও নার্সিংহোম মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: Job Card Scam: প্রধানের কাছে গিয়ে কোনও লাভ নেই, ৫০০ টাকা দিলেই মিলছে জব কার্ড!
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার ধাঁচে এ রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ মেলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করানো যায়। কিন্তু নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে একাধিকবার। এমনকী, রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস। কীভাবে চলত প্রতারণা কারবার? পুলিস সূত্রের খবর, বর্ধমানের বাহিলাপাড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমে কাজ করে তার জামাই। যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে চাইতেন, তাঁদের আনা হত ওই নার্সিংহোমে। বলা হত, কার্ড প্রতি তাঁরা পাবেন ১০ হাজার, ধৃত মহিলা ২ হাজার টাকা। এরপর চিকিৎসা না করিয়েই রোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত!