Kanthi: বিড়িচাকুলি, পোয়াপিঠে, দইপিঠে! পৌষভোরে রসনার 'স্বনির্ভর' উৎসব...
Kanthi: বর্তমান সময়ে ফাস্টফুডের রমরমা। গ্রাম বাংলার দেশীয় সুস্বাদু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে জমজমাট পিঠেপুলি উৎসব। স্বাদ বুঝে নিতে মেলায় হাজির কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা।
কিরণ মান্না: ব্যস্ততার জীবনে হালকা খিদে মেটাতে ফাস্টফুডই ভরসা, তাই বর্তমান সময়ে ফাস্টফুডের রমরমা। গ্রাম বাংলার দেশীয় সুস্বাদু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে জমজমাট পিঠেপুলি উৎসব। স্বাদ বুঝে নিতে মেলায় হাজির কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা।
পৌষ মাসের শীতের আমেজে পিঠেপুলির কথা শুনলে জিভে জল আসেনা এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গুনে অনেক কম। তার উপর একদুই রকম নয়। বহু রকমের পিঠের একেবারে উৎসব। দামও মধ্যবৃত্তের সাধ্যের মধ্যে। তাই কাঁথির পিঠেপুলি উৎসবে ভিড় উপচে পড়ছে চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: Sonarpur: অদ্ভূত ভূতুড়ে কাণ্ড! বাড়ির একাংশ থেকে চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে তেল...
কাঁথি পৌরসভার উদ্যোগে পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা পিঠে বানিয়ে বিভিন্ন স্টলে স্টলে বসেছেন। কাঁথি রাও রিক্রিয়েশন ক্লাবের মাঠে এই উৎসব রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। রাজ্য স্বরোজগার নিগমের চেয়ারম্যান তন্ময় ঘোষ এই পিঠেপুলি উৎসবের উদ্বোধন করেন। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উন্নয়নে এই ধরনের মেলার গুরুত্ব কতখানি, তা তুলে ধরেন তিনি এবং সকলকে এই উৎসবে সামিল হবার জন্য় আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পিঠে বিক্রেতা, মানসী মাইতি বলেছেন- বর্তমান সময়ে যেমন ফাস্টফুডের রমরমা তেমনি কচিকাঁচা থেকে মধ্যবয়স্ক সকলেই আকৃষ্ট হচ্ছে ফাস্টফুডে। ফাস্টফুড থেকে মুখ ফেরাতে এই ধরনের খাবার মা বোনেরা প্রত্যেকে বাড়ি বাড়ি তৈরি করুক চাইছেন তাঁরা। কত জানা-অজানা পিঠে এই মেলায় তৈরি করে নিয়ে এসেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এক পিঠে বিক্রেতা নিয়তি কলা বলেন মানুষেরা এখন বাইরের খাবার খেতেই বেশি অভ্যস্ত কিন্তু এই উৎসবে হাতে তৈরি বানানো পিঠে মানুষের রুচি ফেরাতে বাধ্য। এই উৎসবে কী কী পিঠে পাওয়া যাচ্ছে জানতে চাইলে নন্দিতা প্রধান নামে এক পিঠে বিক্রেতা বলেন দুধ পুলি, পোয়া পিঠে, দই পিঠে, পোড়া পিঠে, গুড় পিঠে, মালপোয়া, আলু পিঠে, পাটি সাপটা নারকেলের পার্টি সাপটা, ক্ষীরের পাটি সাপটা, ভেজ চাকুলি, দই বড়া, বিরি চাকুলি, ভেজ ওমলেট, সরুচাকুলি, আস্কা পিঠে,লুচির পায়েস সমস্ত রকমই পিঠে আছে এই উৎসবে। মেলায় ভিড় হওয়ায় অত্যন্ত খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: সিকিমের বন্যায় বিপুল ক্ষতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে, মাথায় হাত চাষিদের...
বিজয়িতা প্রধান নামে এক ক্রেতা বলেছেন এই উৎসবে পিঠে পুলির দামও খুব বেশি নয়। অনেক নতুন নতুন পিঠে পরখ করতে পারছেন উৎসবে এসে জানিয়েছেন এখানে আসা ক্রেতারা। হাতের কাছে এত রকম পিঠে পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন তারা ক্রেতারাও। শুধু পিঠেপুলি নয়। এই উৎসবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের হাতের কাজের নানা স্টলও দিয়েছেন। রয়েছে হাতে বানানো মাটির পুতুলের স্টল। এছাড়াও নানা রকম বড়ি ও টেডি বিয়ারের স্টলও রয়েছে। এই উৎসবের উপরি পাওনা প্রতিদিন সন্ধ্যায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)