হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া যাবে না, ভাইরাল হতে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভাশিস
রাজ্যজুড়ে গেরুয়া হাওয়ার মাঝেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গড় অটুট রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দুদের ভোট করতে দেওয়া যাবে না। ভাইরাল ভিডিয়োয় এমন মন্তব্যে জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে শুভাশিসবাবু সাফাই দিলেন, তাঁর বক্তব্য কাটছাঁট করে তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁর কথার ওই অংশটি ব্যবহার করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপালেন তৃণমূল নেতা।
রাজ্যজুড়ে গেরুয়া হাওয়ার মাঝেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গড় অটুট রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ওই জেলায় সিপিএমকে ছাড়িয়ে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। যাদবপুরের মতো কেন্দ্রেও বিকাশরঞ্জনকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। ভোটের পর নির্বাচনী পর্যালোচনায় বসেন জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। ওই পর্যালোচনায় ভাইরাল হয় তাঁর একটি ভিডিয়ো। ওই ভিডিয়োয় শুভাশিসকে বলতে শোনা যাচ্ছে,'এই বুথটা কার? এই তিনটে বুথ কার? লক্ষ্য রাখবি। কেন বলতো? সিপিএম বেড়েছে অসুবিধা নেই'। পাশ থেকে উত্তর আসে,'এটা হিন্দু বেল্ট। আমাদের উপপ্রধান আছে'। শুভাশিস নির্দেশ দেন,'ওই জায়গায় নজর রাখবি। হিন্দুদের ভোট করতে দেওয়া যাবে না। ওই হিন্দুরা বিজেপিকে দেয়'।
ভিডিয়োটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতির সাফাই, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর বক্তব্য কাটছাঁট করে তুলে ধরছে। সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি।
গোটা ঘটনায় বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভাশিস চক্রবর্তী। গেরুয়া শিবিরের উল্লেখ না করে তিনি বলেন,''একটা রাজনৈতিক দল ধর্মীয় মেরুকরণে বিশ্বাসী। তাদের মদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে''। অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন শুভাশিস চক্রবর্তী। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, নব্বইয়ের দশকে মমতার নেতৃত্বে সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ভোটের আবেদনও করেছিলেন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভাশিসবাবু।
আরও পড়ুন- নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন মমতা, 'জয় শ্রী রাম' বিতর্কে মুখ খুললেন অপর্ণা সেন
লোকসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে মেরুকরণে ফায়দা লুটেছে বিজেপি। আর শুভাশিসের বক্তব্যটি ইতিমধ্যেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির প্রচার রুখতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।