রাজ্যপালের প্রতি আক্রমণ নিয়ে তৃণমূলের রুচিবোধকে কটাক্ষ সূর্যকান্তের
"আমাদের ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে হঠাতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যা বিপদের।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : "তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের রুচিবোধের অভাব আছে।" জলপাইগুড়িতে তোপ দাগলেন সিপিআইএম পলিটবুরোর সদস্য তথা রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের তরজা চলছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কখনও তৃণমূল মন্ত্রী-সাংসদদের সঙ্গে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার অভিযোগ করেছেন, "রাজ্যপাল একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছেন।"
সেই প্রসঙ্গেই সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই রুচিসম্মত নয়। কারণ রাজ্যপালের কাছে শপথ নিয়েই তারপর একজন বিধায়ক মন্ত্রী হন। তাই রাজ্যপালকে উদ্দেশ করে এধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়।" শনিবার একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে জলপাইগুড়িতে আসেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। দিনভর জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এরপর সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "রাজ্যে ৩৪ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। কখনও দেখেছেন আমাদের সঙ্গে রাজ্যপালের এমন সংঘাত হয়েছে। তৃণমূলের একজন-একজন মন্ত্রী রাজ্যপালকে যে ভাষায় আক্রমণ করেন, তা দেখে মনে হয় তৃণমূলের সবারই রুচিবোধের অভাব আছে। আবার মাঝেমধ্যে মনে হয়, এদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আছে। তাই এমন সংঘাত চলছে।"
সূর্যকান্ত মিশ্র আরও বলেন, "একথা ঠিক যে আমাদের ভোটের একটা বড় অংশ তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। আমাদের ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে হঠাতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যা বিপদের। কারণ বিজেপি পরিচালিত হয় আরএসএস-এর নির্দেশে। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় শক্তির উন্মেষ বড় বিপদের কারণ। এরপর রাজ্যেও যদি আমরা এদের ডেকে আনি, তবে রাজ্যের সমূহ ক্ষতি। বিকল্প একমাত্র বাম ও ধর্মনিরপেক্ষ জোট। তাই রাস্তায় নেমে মানুষকে আমরা সেই বার্তা-ই দিচ্ছি।"
আরও পড়ুন, মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের উপর ছুরি নিয়ে হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি