চা বাগান এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে মদের নেশা, গার্হস্থ্য হিংসার সংখ্যা বৃদ্ধিতে চিন্তিত মহিলা কমিশন

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগান যখন বন্ধ ছিল তখনও আমরা এসেছিলাম। খোলার পর এখনকার পরিস্থিতি বোঝার জন্যেই এই আগমন। পুরুষদের মদ খেয়ে কাজে আসার প্রবণতার কথাও জানতে পেরেছি। সেক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। যারা মদ খেয়ে কাজে আসছেন তাঁদের কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

Updated By: Feb 26, 2023, 01:50 PM IST
চা বাগান এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে মদের নেশা, গার্হস্থ্য হিংসার সংখ্যা বৃদ্ধিতে চিন্তিত মহিলা কমিশন
নিজস্ব চিত্র

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চা-বাগান এলাকায় মদের নেশায় আসক্ত হচ্ছে পুরুষ শ্রমিকেরা। তা নিয়েই চিন্তিত মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। চা বাগানে মদের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলো রাজ্য মহিলা কমিশন। বাড়ির পুরুষদের অনেকেরই মাকদাসক্তের কারণে মহিলা শ্রমিকদের যে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। শনিবার  বিকেলে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে ৩ সদস্যর একদল প্রতিনিধি ২০ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর গত অগাস্ট মাসে খোলা রেড ব্যাংক চা বাগান পরিদর্শনে আসেন।

আরও পড়ুন, 'মমতাও বাইরে গেলে তখন বোমাবাজি করতে পারি, করিনা', বিস্ফোরক সুকান্ত

সেখানকার মহিলাদের অনেকেই তাঁদের কাছে পুরুষদের মদে আসক্তির সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি রেশন ঠিকমতো না পাওয়ার অভিযোগও জানান। পরে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চা বাগানে মদ যে একটা বড় সমস্যা তা নিয়ে কোন সংশয় নেই। এর ফলে বাড়ির মহিলারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। বাড়ির ছোটরাও এটা দেখে বড় হচ্ছে। সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ভিত্তিতে যাতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতার শিবির আয়োজন করা হয় এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রয়োজনে চিকিৎসকদের নিয়ে মদ খাওয়ার কুফলও শ্রমিকদের বোঝানো যেতে পারে। রেড ব্যাংক থেকে রেশন ঠিক মতো না পাওয়া সহ পানীয় জল ও অন্যান্য যে সমস্ত অভিযোগ উঠে এসেছে তা নিয়ে ব্লক প্রশাসনকে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। এদিন বিকেলে মহিলা কমিশনের সদস্যরা রেড ব্যাংকে আসেন। সেখানকার হাসপাতালের সামনে শিমুলতলায় বসে মহিলা শ্রমিকদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগান যখন বন্ধ ছিল তখনও আমরা এসেছিলাম। খোলার পর এখনকার পরিস্থিতি বোঝার জন্যেই এই আগমন। পুরুষদের মদ খেয়ে কাজে আসার প্রবণতার কথাও জানতে পেরেছি। সেক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। যারা মদ খেয়ে কাজে আসছেন তাঁদের কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদিন রেড ব্যাংকে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন মহুয়া পাঁজা, সদস্য সুজাতা লাহিড়ী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বানারহাটের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাসও। রেড ব্যাংকের লক্ষ্মী আহির নামে এক শ্রমিক বলেন, মজুরি, রেশন, বাড়ির ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সমস্যা সহ সবকিছুই মহিলা কমিশনকে জানিয়েছি।

আরও পড়ুন, Howrah: নেশামুক্তির পর কর্মসংস্থানও! মাদকাসক্তদের মূলস্রোতে ফেরাতে নয়া উদ্যোগ পুলিসের

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.