সন্দেশখালির অত্যাচারিত আদিবাসীরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ দেখাল এসপি অফিসে
গন্তব্যস্থল বসিরহাট সংগ্রামপুর এসপি অফিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরনে লাল পাড় এবং হলদে রং-এর শাড়ি। মাথায় ফেট্টি বাঁধা। হাতে ত্রিশূল। শতাধিক মহিলা ভারতীয় আদিবাসী ও তপশিলি জাতি উন্নয়ন সংস্থার ব্যানার নিয়ে লাইন করে এগিয়ে চলেছে। বসিরহাট টাউন হল থেকে তীর-ধনুক ও মহিলারা হাতের ত্রিশূল নিয়ে বিশাল মিছিল বের হয়। গন্তব্যস্থল বসিরহাট সংগ্রামপুর এসপি অফিস। শাসকদলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে তীরধনুক ত্রিশূল নিয়ে বসিরহাট পুলিস সুপার অফিস ঘেরাও করে সন্দেশখালির আদিবাসী সম্প্রদায়। বিক্ষোভও দেখায় এসপি অফিসে।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে পরীক্ষা, UGC-র নির্দেশ মেনে সিদ্ধান্ত বদল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আদিবাসী সম্প্রদায়ের বক্তব্য, "সন্দেশখালিতে তৃণমূল না করলেই অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। আমপানের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আমরা বিডিও দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কারা গিয়েছিলাম সেই তালিকা বের করে অত্যাচার চালায় শাসকদলের কর্মীরা। ওদের অত্যাচারের ভয়ে গ্রামের অনেকেই ঘর ছাড়া। অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায় নি গ্রামের মহিলারাও। এই নিয়ে স্থানীয় সন্দেশখালি থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বরং অভিযোগ জানানোর দায়ে লাঞ্ছিত এবং অত্যাচারিত হতে হয়। এর প্রতিকার চাই। তাই আমরা পুলিস সুপারের কাছে বিচার চাইতে এসেছি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ঘরছাড়া আদিবাসীদের ঘরে ফেরাতে হবে।"
আদিবাসীদের এই মিছিল বিজেপির উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত। তিনি জানান, "আদিবাসীদের নিয়ে এটা পরিকল্পিত মিছিল। মিছিলের নেতৃত্বে আছেন বিজেপি কর্মী সুকুমার সরদার। আদিবাসীদের দুর্বলতার সুযোগ তাঁদের দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করানো হচ্ছে। যে অভিযোগগুলো তোলা হচ্ছে সেগুলো ভিত্তিহীন। "সন্দেশখালির আদিবাসী সম্প্রদায় এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিস সুপারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়।