শ্রীরামপুরে ফুটবলার খুনের মামলায় বেকসুর খালাস TMC নেতা
বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সরকারি আইনজীবীরা সহযোগিতা করেননি, পাল্টা দাবি নিহতের মা-র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। ভোটের মুখে শ্রীরামপুরে ফুটবলার খুনের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু নাগ। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বললেন, 'এ বিষয়েই কিছু জানতাম না। রাজনীতি করি বলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা'। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সরকারি আইনজীবীরা সহযোগিতা করেননি, পাল্টা দাবি নিহতের মা-র। এই মামলায় বাকি অভিযুক্তদেরও নির্দোষ ঘোষণা করেছে আদালত।
প্রতিশ্রুতিমান গোলকিপার, খেলতেন কলকাতা ময়দানে। ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর ভোরে শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় স্নেহাশিষ দাশগুপ্ত ওরফে রাজার নিথর দেহ। পরিবারের লোকেদের দাবি, দুর্গাপুজোর নবমীর দিন রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন কাউন্সিলর পিন্টু নাগের ভাইপোর সঙ্গে ঝামেলা হয় রাজার। এরপর গভীর রাতে তাঁর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন পিন্টু ও তাঁর দলবদল। নিখোঁজ ছিলেন ওই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম, আমাকে তৃণমূল করতে দেওয়া হয়নি: Anisur Rahaman
ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পিন্টু নাগ-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। মাস তিনেক জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পান পিন্টু। চার্জশিট পেশের পর, রেলের গার্ড, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ-সহ ২৬ জন সাক্ষ্য দেন শ্রীরামপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে। শেষপর্যন্ত এদিন তৃণমূল নেতা-সহ ৮ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দিলেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে নেত্রী Mamata না ছেলে Suvendu, কাকে সমর্থন করবেন? স্পষ্ট জানালেন Sisir
আদালতের রায়ে স্বভাবই খুশি পিন্টু নাগ। তাঁর বক্তব্য, 'যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু রাজার মৃত্যুর পর আমি, আমার স্ত্রী মৌসুমী ও নাবালিকা মেয়ের নামেও অভিযোগ দায়ের করা হল। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। রাজনীতি করি বলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। আইনের প্রতি আস্থা ছিল। আজকে আদালতে রায় দিয়েছে, তাতে বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধার আরও বেড়ে গেল'। কী বলছেন নিহতের পরিবার? স্নেহাশিষ দাশগুপ্ত ওরফে রাজার মা-র দাবি, 'আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সরকারি আইনজীবী ও বামেদের যে আইনজীবী সাহায্য করবেন বলেছিলেন, তাঁরা সহযোগিতা করেননি। তাও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমাদের পয়সা নেই। পেটের চিন্তা করব না আদালতে যাবে'?