TMC প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলীয় সদস্যরাই, 'বেসুরো' প্রায় গোটা একটা পঞ্চায়েত!
"এসব কাটমানি আর বখরার লড়াই। এরা কেউ মানুষের ভোটে জেতেনি। গায়ের জোরে ভোটে জিতেছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ধমানে (Burdwan) এবারে বেসুরো একটা গোটা পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ সদস্য। পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৮ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা চিঠিও দিয়েছেন বিডিও-কে।
বিদ্রোহী সদস্যদের দাবি, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পান না। মানুষ বারবার হয়রান হচ্ছেন। প্রধান সাধারণ মানুষের সাথে দুর্বব্যবহার করেন। এমনকি পঞ্চায়েতের সদস্যদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন। যদিও ৪ জন সদস্যের অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। তাঁদেরই একজন মিতা দাস জানান সব সিদ্ধান্ত সভা ডেকে নেওয়া হয়। মানুষ ঠিক পরিষেবা পান। যদি পরিষেবা কেউ না পান তার দায় সদস্যদের। তাদেরই মানুষ পান না।
আরও পড়ুন, দলীয় পতাকা নয়, জাতীয় পতাকা ও স্বামীজির ছবি নিয়ে এবার BJP-র মেগামিছিল
বিজেপির (BJP) কৃষক মোর্চার জেলা সম্পাদক দেবাশিস সরকার এবিষয়ে বলেন, "এসব কাটমানি আর বখরার লড়াই। এরা কেউ মানুষের ভোটে জেতেনি। গায়ের জোরে ভোটে জিতেছে। বালি থেকে ছোট কারখানা, তোলা আদায় নিয়ে এদের ঝামেলা। আগামীদিনে তৃণমূল এভাবেই শেষ হবে।" অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য কমিটির সদস্য দেবু টূডু জানান, "একটা সমস্যা হয়েছে শুনেছি। খতিয়ে দেখছি ব্যাপারটা।"
আরও পড়ুন, চলতি বছরে বন্ধ হতে পারে Gangasagar Mela, কড়া পর্যবেক্ষণ High Court-এর
বর্ধমান সদর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি ৮ জন সদস্যের চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত আইনের নিয়ম অনুসারে আড়াই বছর মেয়াদ পেরনোর আগে অনাস্থা বৈধ নয়। পঞ্চায়েতের প্রথম সভার তারিখ থেকে আড়াই বছর এখনও হয়নি।