Visva Bharati: বিশ্বভারতী সোনার হাঁস; ডিমের পেছনে সবাই দৌড়ায়, কাকে নিশানা উপাচার্যের?

উপাচার্য বলেন, দুঃখের বিষয় এই বিশ্বভারতীতে প্রত্যেকটি শব্দে একটা বিকৃত শব্দ আমরা পাচ্ছি। সেই বিকৃত অর্থের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে ব্যক্তিগত স্বার্থ। লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বভারতীকে না ভালোবাসার প্রকাশ

Updated By: Feb 15, 2023, 01:12 PM IST
Visva Bharati: বিশ্বভারতী সোনার হাঁস; ডিমের পেছনে সবাই দৌড়ায়, কাকে নিশানা উপাচার্যের?

প্রসেনজিত্ মালাকার: বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের সংঘাতের মধ্যে ফের সরব বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। বুধবার মন্দিরে উপাসনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের নিশানা করলেন উপাচার্য। বলেন, বিশ্বভারতী সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। ডিমের প্রতি আগ্রহ রয়েছে সবার। সোনার ডিম থেকে কতটা অংশ ভাগ পেতে পারি তার জন্য দৌড়ায় সবাই।  হিন্তু হাঁসটিকে লালন পালন কেউ করে না।

আরও পড়ুন-রাম মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভারতীয় দূতাবাসের

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর কিছু জমি দখল করে বসে রয়েছেন বলে তিনি বারবার অমর্ত্য সেনকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী অমর্ত্যের জমির কাগজ নিয়ে গিয়ে অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন। কিন্তু অনড় বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।  গত সপ্তাহেই জি ২৪ ঘণ্টার আপনার রায় অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। অমর্ত্য সেনকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাঁর কাছ থেকে উপকৃতও। কিন্তু তা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ ক্ষুন্ন হতে দিতে পারব না।

উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী বারবার আশ্রমিকদের নিন্দা করেছেন। বুধবার বিশ্বভারতীয় বিশেষ উপাসনায় বসে তিনি আবেগ শব্দের অর্থ বোঝাতে শুরু করেন। তখনই তিনি বলেন, বিশ্বভারতীতে সবাই পাওয়ার লোভে ঘোরে। এটা একটা সোনার ডিম পাড়া হাঁস। সবার নজর ডিমের প্রতি। হাঁসের প্রতি নেই। তিনি আরও বলেন, বিশ্বভারতীয় ঐতিহ্যমন্ডিত অনুষ্ঠানের প্রতি অনেকের কোনও আবেগ নেই। প্রসঙ্গত, উপাচার্যের ওই মন্তব্য নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

এদিন উপাচার্য বলেন, দুঃখের বিষয় এই বিশ্বভারতীতে প্রত্যেকটি শব্দে একটা বিকৃত শব্দ আমরা পাচ্ছি। সেই বিকৃত অর্থের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে ব্যক্তিগত স্বার্থ। লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বভারতীকে না ভালোবাসার প্রকাশ। এটা সেই হাঁস যে সোনার ডিম দেয়। ডিমের প্রতি লোভ আছে কিন্তু হাঁসটাকে লালন করব না। সেই আবেগ নেই। 

উপাচার্যের ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, বিশ্বভারতী যদি সোনার হাঁস হয় তাহলে উপাচার্য হিসেবে আচার্য প্রধানমন্ত্রীকে বলুন সবকিছু। তা না করে তিনি যদি সেই সোনার ডিম কেন্দ্রের শাসক দলকে বারবার পরিবেশন করেন তাহলে কী হবে। তিনি উপচার্য হওয়ার পর থেকে বিশ্বভারতীর মান মর্যাদা যেভাবে তলানির দিকে যাচ্ছে। কথায় কথায় সাসপেন্ড, কথায় কথায় বহিস্কার, বিশ্ববরেণ্য অমর্ত সেনকে আক্রমণ, এসব তো উনিই করছেন। তাঁর জন্য যে বিশ্বভারতীয় মর্যাদাহানি হচ্ছে তা তো স্পষ্ট। আগে নিজে ঠিক কাজ করুন। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.