ভোটমুখী বাংলায় ফের অশান্তি, মেরে বিজেপি বুথ সভাপতির মাথা ফাটাল দুষ্কৃতীরা
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অবশ্য এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নকিব উদ্দিন গাজি: ভোটমুখী বাংলায় ফের অশান্তির অভিযোগ। ফের বিজেপি নেতার উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রায়দিঘি খাঁপাড়া এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতিকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়দিঘি বিধানসভার বামুনের চকের ১২৭ নম্বর বুথে। আহত বিজেপি কর্মীর নাম দেবাশিষ হালদার। জানা গিয়েছে, রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর ২-নম্বর ব্লকের খাঁড়াপাড়া এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি দেবাশিষ হালদার। সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
পরে আহত বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অবশ্য এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপি বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
যা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে হাইকোর্টে যাওয়ার ও পুলিসকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতী ঘোষ! যদিও পুলিসের দাবি, "মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।" প্রতিবেশীদেরও দাবি, প্রতিবেশীদের দাবি, গত ২ বছর আগে বিজেপি করতেন দীপক। সেই সূত্রে তাঁর বাড়িতে লোকজন আসা যাওয়া করত। কিন্তু এখন আর কোনও রাজনৈতিক দল করতেন না দীপক সামন্ত।
কিন্তু বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এটা একেবারে তৃণমূলের পুরনো কায়দা। এর আগেও পুরুলিয়াতে ২০২১-এ ভোটের পরে সংগঠিত করেছিল। আমরা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি যদিও দাবি করেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।' এদিকে সবং-এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, WB Panchayat Election 2023: ভোটের মুখে সিপিএম প্রার্থীকে পদ্ম শিবিরে টেনে চমকে দিল বিজেপি!