ব্যঙ্গে 'হ্যাঁ', সন্ত্রাসে 'না' ফেসবুকের
কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা বা তাদের কর্মসূচীর প্রচার আর ফেসবুকে করা যাবে না। তবে ব্যঙ্গাত্মক ছবি, কমেন্টে আপত্তি নেই এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়েন্টের। ফেসবুকের গ্লোবাল পলিসি ম্যানেজমেন্ট প্রধান মনিকা বিকের্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রয়োজনে ইউসারের 'আপত্তিজনক' কনটেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার যে পলিসি তাঁদের আছে তা বজায় থাকবে। তবে ইউসারদের কাছে বিষয়টি আরও সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে নিয়মাবলীর ভাষা পরিবর্তিত হবে।
ওয়েব ডেস্ক: কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা বা তাদের কর্মসূচীর প্রচার আর ফেসবুকে করা যাবে না। তবে ব্যঙ্গাত্মক ছবি, কমেন্টে আপত্তি নেই এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়েন্টের। ফেসবুকের গ্লোবাল পলিসি ম্যানেজমেন্ট প্রধান মনিকা বিকের্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রয়োজনে ইউসারের 'আপত্তিজনক' কনটেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার যে পলিসি তাঁদের আছে তা বজায় থাকবে। তবে ইউসারদের কাছে বিষয়টি আরও সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে নিয়মাবলীর ভাষা পরিবর্তিত হবে।
কোনও একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট আপত্তিজনক মনেহলে কোনও ফেসবুক ইউসার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে সে বিষয়ে তাঁদের আপত্তি জানাতে পারেন এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই। রিপোর্ট পেলে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ফেসবুক রিভিউ টিমের। ফেসবুকের বিচারে আপত্তিজনক প্রমাণিত হলে সেই কনটেন্টের আর হদিশ পাওয়া যায় না। সোজা ভাষায় ফেসবুক তাকে সাসপেন্ড বা সাময়িকভাবে অচল করে দেয়।
অবশ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দিষ্ট কোনও কনটেন্ট সম্পর্কে আপত্তি আসলে সেটি বিচার করার পদ্ধতিটি পৃথক। সারা পৃথিবীতে প্রতিমাসে ১৩৯ কোটি মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করেন। যার মধ্যে ১১.৮ কোটি ভারতীয়। ভারতের আগে আছে শুধুমাত্র ইউএসএ ও কানাডা।
ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন ধরেই আইসিস-এর মত জোঙ্গি গোষ্ঠী গুলি নিজেদের হিংসাত্মক ভাবধারার প্রচার চালিয়ে আসছে। শার্লে এবদোতে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণের পরেই সতর্ক হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে কোনও রকম সন্ত্রাস বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কোনও রকম সংগঠন বা তাদের কার্যকলাপের মাধ্যম হিসাবে আর এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে ব্যবহার করা যাবে না। ছড়ানো যাবে না কোনও বিদ্বেষমূলক মতবাদও।
বিকের্ট জানিয়েছেন সরকারের অনুরোধে কোনও প্রোফাইল সরাসরি ব্লক করে দিতে পারেন তাঁরা। তবে নির্দিষ্ট একটি দেশের সরকারের অনুরোধে কোনও কনটেন্ট রিমুভ করার অর্থ শুধুমাত্র সেই দেশেই আর দেখা মিলবে না সেই কনটেন্টের। অনান্য দেশ থেকে দিব্যি দেখা মিলবে কনটেন্টটির।
২০১৪ সকালে ব্রিটেনের ২৪ বছরের এমা বন্ডের নিজের সন্তানকে স্তন্যপানের ছবি ফেসবুক উড়িয়ে দেওয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। বহুনারীবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার হন ফেসবুকের এই আচরণের বিরুদ্ধে। ফেসবুকের দাবি যদি কোনও মহিলার স্তনবৃন্ত সহ স্তনের ছবি কেউ আপলোড করেন তবে সেটি তারা উড়িয়ে দেবেনই।