গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দিল আয়ারল্যান্ডের গণভোট

আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আরটিআই তাদের একটি বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় আগেই জানিয়েছিল ৭০ শতাংশ মানুষ গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে

Updated By: May 27, 2018, 01:50 PM IST
গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দিল আয়ারল্যান্ডের গণভোট

নিজস্ব প্রতিবেদন: আঠারো মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রয়্যাল ডাবলিন সোসাইটিতে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আইরিশ মহিলা আমান্ডা ম্যালেট। এই রয়্যাল ডাবলিন সোসাইটিতেই চূড়ান্ত গণনা চলছিল গণভোটের। প্রখর রোদেও বিরক্তির লেশ মাত্র নেই ম্যালেটের। ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন অধিকাংশ নাগরিক। ম্যালেটের মতো কয়েক হাজার মানুষ প্রবল উদ্বেগ নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এই রয়্যাল ডাবলিন সোসাইটিতে।

আরও পড়ুন- বৈঠক বাতিল ট্রাম্পের, হাল ছাড়ছেন না কিম

আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আরটিআই তাদের একটি বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় আগেই জানিয়েছিল ৭০ শতাংশ মানুষ গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। রবিবার গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফলেও কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় ১৪.৩০ লক্ষ নাগরিক অংশগ্রহণ করেন গণভোটে। গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন প্রায় ৭.২৩ লক্ষ মানুষ। অর্থাত্ মোট ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ। এই ফলাফল জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন আমান্ডা ম্যালেট। তিনি বলেন, ২০১১ সালের আগে আয়ারল্যান্ডের মানুষ যদি এমন সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে এত কষ্ট আমায় সহ্য করতে হত না। সে সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন আমান্ডা। গর্ভপাত জরুরি হয়ে পড়ার সত্ত্বেও এ দেশে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বিদেশে গিয়ে গর্ভপাত করান তিনি। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গর্ভপাত বিরোধী সাংবিধানিক সংশোধনীকে অমানবিক ব্যাখ্যা করে নতুন আইনের সুপারিশ করে আয়ারবল্যান্ড সরকারকে।

আরও পড়ুন- ট্রাম্প বৈঠক সফল করতে ফের সাক্ষাত দুই কোরিয়ার

গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা বৃহস্পতিবার গণভোটের আয়োজন করে আয়ারল্যান্ড সরকার। শুধু সে দেশের নাগরিকই নয়, প্রবাসী আয়ারল্যান্ডবাসীও এই গণভোটে অংশগ্রহণ করেন। গর্ভপাত বিরোধী সাংবিধানিক সংশোধনীকে বাতিলের পক্ষে ডাবলিনের সমস্ত কেন্দ্রে অভূতপূর্ব ভোট দিয়েছেন সে দেশের নাগরিক। ম্যালেট বলেন, সময় বদলেছে। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে আয়ারল্যান্ডের মহিলাদের স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাঁরা সত্যিই নিজেদের পাল্টে ফেলেছেন।

আরও পড়ুন- গর্ভপাতের অধিকার ফিরুক, চাইছেন আয়ারল্যান্ডের ৭০ শতাংশ নাগরিক: সমীক্ষা

.