দেহরক্ষীর গুলি চালনায় গ্রেফতার অর্জুন রণতুঙ্গা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিলল জামিনও

উল্লেখ্য, শুক্রবার শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার পরই পদ খোয়ান অর্জুন রনতুঙ্গা। অভিযোগ ওঠে, পদ না থাকা সত্ত্বেও জোর করে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন রণতুঙ্গা

Updated By: Oct 29, 2018, 07:13 PM IST
দেহরক্ষীর গুলি চালনায় গ্রেফতার অর্জুন রণতুঙ্গা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিলল জামিনও
ছবি- এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী তথা প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গাকে গ্রেফতার করল পুলিস। রবিবার, তাঁর নিরপত্তারক্ষীর গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ জন গুরতর জখম হন। এরপরই আজ রণতুঙ্গাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সূত্রে খবর, এ দিন জামিন পেয়ে গিয়েছেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট তারকা রণতুঙ্গা।

আরও পড়ুন- লায়ন এয়ারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের চালক ছিলেন একজন ভারতীয়

উল্লেখ্য, শুক্রবার শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার পরই পদ খোয়ান অর্জুন রনতুঙ্গা। অভিযোগ ওঠে, পদ না থাকা সত্ত্বেও জোর করে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন রণতুঙ্গা। তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে সদ্য প্রধানমন্ত্রী হওয়া মহিন্দ্রা রাজাপক্ষের সমর্থকদের। সে সময় মন্ত্রীকে বাঁচাতে গুলি করেন তাঁর দেহরক্ষী।  

আরও পড়ুন- দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত

শুক্রবার, রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা। সেই পদে তাঁরই ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান। কিন্তু বিক্রমাসিঙ্ঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে রাতারাতি এ ভাবে সরানো অংসবিধানিক। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকেন তিনি। আস্থাভোট পেতে জরুরীকালীন অধিবেশনের আবেদন করলে শ্রীলঙ্কার সংসদ ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন রাষ্ট্রপতি। যার ফলে, নির্বাচনের মাধ্যমে জিতে আসা বিক্রমাসিঙ্ঘ এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারা নির্বাচিত রাজাপক্ষে দুই জনেই এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে বিক্রমাসিঙ্ঘে ও সিরিসেনার মধ্যে মতানৈক্য তীব্র আকার ধারণ করেছিল। বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট ভাঙার কথা ঘোষণা করে সিরিসেনার ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। ২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কার সংসদে ১০৬টি আসন রয়েছে বিক্রমাসিঙ্ঘের। সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে মাত্র ৭টি কম। অন্যদিকে মোট ৯৫টি আসন রয়েছে সিরিসেনা ও রাজাপক্ষের ঝুলিতে।  

.