'তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সম্মুখীন পৃথিবী', একদিকে শান্তি অপর দিকে আইসিস
সৌরভ পাল
(ফ্রান্সের শার্লি এবডো থেকে মার্কিন মুলুকের ক্যালিফোর্নিয়া, ১২ মাসের সন্ত্রাস তালিকা, কোন দেশে কবে সন্ত্রাস হামলা চালিয়েছে ISIS)
পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধ তো অনেকই হয়েছে তবে, ভয়াবহতার নিরিখে রোমহর্ষক যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেটাও ৬ দশক আগেকার কথা। বিশ শতকে বিশ্ব দেখেছে ইরান-ইরাক যুদ্ধ। পৃথিবী সাক্ষ্মী থেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিমান হানার। ভারতের ইতিহাসে সন্ত্রাস তাঁর কলঙ্ক ছেড়ে গিয়েছে মুম্বইয়ের 'তাজ'-এ। বিন লাদেন খতম হওয়ার পর আরব সমুদ্রে সমাধিস্থ হয়েছে বুলেটবিদ্ধ দেহ। শান্তির স্বান্তনা সবে গুনগুন করতে শুরু করেছিল। ফের আতঙ্ক। ফের বুলেটের টার্গেটে মানুষ। মৃত্যু, মৃত্যু আর মৃত্যু। মিছিল এতই দীর্ঘ, লাশকাটা ঘরও ছোট হয়ে গিয়েছে। রাস্তাই যেন রক্তের সমুদ্র। আইসিসের নিশানায় বিশ্ব, পৃথিবী কাঁতর সন্ত্রাসে। ২০১৫ সাল। আক্রান্ত যে যে দেশ-অস্ট্রেলিয়া, আলজিরিয়া, কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ফ্রান্স, লিবিয়া, লেবানন, মিশর, ডেনমার্ক, টিউনেশিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, তুরস্ক, কুয়েত, বাংলাদেশ।
(ডিসেম্বর)
ডিসেম্বর ২
ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সান বার্নাদিনোতে এক দম্পতির গুলিতে হত ১৪ জন মার্কিন নাগরিক। তদন্তে মার্কিন গোয়ান্দা সংস্থা FBI। পাওয়া গিয়েছে ISIS যোগ।
(নভেম্বর)
নভেম্বর ২৬
বাংলাদেশের এক মসজিদে নামাজ চলাকালীন নামাজিদের লক্ষ্য করে গুলি। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ISIS।
নভেম্বর ২৪
মিশরের একটি হোটেলে সন্ত্রাস হামলা। মৃত ৭।
নভেম্বর ১৩
ফ্রান্স। ফুটবল মাঠ থেকে মিউজিক কনসার্ট, বাদ যায়নি রাস্তা থেকে রেস্তোরা। বোমা আর বিক্ষিপ্ত গুলি। হত ১২০।
নভেম্বর ১২
লেবানন। পর পর দু'জায়গায় আত্মঘাতী বোমা হামলা। মৃত ৪৩।
নভেম্বর ৪
মিশর। আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত ৪ পুলিস অফিসার।
(অক্টোবর)
অক্টোবর ৩১
মিশর। রাশিয়ার জেট বিমান হাইজ্যাক। যাত্রী ছিল ২২৪ জন। সকলেই মৃত। হাইজ্যাক করার দায় স্বীকার করে ISIS।
অক্টোবর ২৪
বাংলাদেশ। মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ। মৃত ১, আহত ১২।
অক্টোবর ১০
তুরস্ক। দুই জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ। মৃত ১০০।
অক্টোবর ৬
ইয়েমেনের দুই মেট্রো শহরে পরপর বোমা বিস্ফোরণ। মৃত ২৫।
(সেপ্টেম্বর)
সেপ্টেম্বর ২৪
ফের ইয়েমেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পরব ঈদ-উল-আজহা পালনের সময় মসজিদে বোমা হামলা। মৃত ২৫ নামাজী। সেপ্টেম্বর ২, ফের হামলা মসজিদে। মৃত ২০ জন।
(আগস্ট)
আগস্ট ২৬
মিশর। সিনাই অঞ্চলে আততায়ীদের গুলিতে মৃত ২ পুলিস অফিসার।
আগস্ট ৭
সৌদি আরব। আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত ১২।
(জুলাই)
জুলাই ২০
তুরস্ক। সংস্কৃতি সেন্টারে বোমা হামলা। মৃত ৩২।
জুলাই ১
ইজিপ্ট। ISIS হানায় মৃত ১২ জন সেনা জাওয়ান।
(জুন)
জুন ২৬
টিউনেশিয়া। রিসর্টে বোমা হামলা। মৃত ৩৮ জন। বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন ব্রিটিশ পর্যটক।
জুন ১৭
ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে পরপর বোমা বিস্ফোরণ। মৃত ৩০।
জুন ৫
তুরস্ক। রাজনৈতিক মিছিলে বোমা হামলা। মৃত ১০০।
(মে)
মে ৩১
লিবিয়া। আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত ৩।
মে ২৯
সৌদি আরব। লিবিয়ার মত একই ধরনের সন্ত্রাস। মসজিদে বোমা হামলায় মৃত ৩।
মে ২২
ইয়েমেন। মসজিদে বোমা হামলায় মৃত ১৩।
মে ২২
সৌদি আরব। মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হমালা। মৃত ২১। আহত ১০০।
(এপ্রিল)
এপ্রিল ৩০
ইয়েমেন। আইসিস হামলায় ১৫ জন ইয়েমেন সেনা হত।
এপ্রিল ১৯
লিবিয়া। আইসিস হামলায় হত ১২ জন খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী।
এপ্রিল ১২
মিশর। আইসিস হামলায় মৃত ১২ জন মিশরীয়। এপ্রিল ২, আইসিস হামলায় প্রাণ হারান ১৩ জন নাগরিক।
(মার্চ)
মার্চ ২০
ইয়েমেন। জায়েদি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা। মৃত ১৩০ জন নামাজী।
মার্চ ১৮
টিউনেশিয়ায় আইসিস হামলায় প্রাণ হারান ২২ জন ইউরোপীয় পর্যটক
(ফেব্রুয়ারি)
ফেব্রুয়ারি ২০
লিবিয়া। আচমকা বোমা হামলায় প্রাণ হারান ৪০ জন সাধারণ মানুষ।
ফেব্রুয়ারি ১৫
ডেনমার্ক। খুন ৫ পুলিস আধিকারিকসহ আরও ২।
ফেব্রুয়ারি ৩
লিবিয়া। আইসিস হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন সেনাকর্মী।
(জানুয়ারি)
জানুয়ারি ২৬
লিবিয়া। আইসিসের বুলেট প্রাণ কেড়ে নেয় ৪৪ জন মানুষের। যার মধ্যে ২৪ জন ছিলেন সেনা জওয়ান। ৬ জন পুলিস আধিকারিক। ১৪ জন সাধারণ মানুষ।
জানুয়ারি ১১
ফ্রান্স। ফরাসী সংবাদপত্র শার্লি এবডোর ওপর আক্রমণ।