করোনার ভ্যাকসিন—এর পরীক্ষা শুরু হল অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে
দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে তিন স্তরের পরীক্ষা করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের দু'টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছেন এক দল গবেষক। জানা গিয়েছ, এই দুটি ভ্যাকসিন প্রাণীর শরীরের প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি একটি প্রতিবদন থেকে জানা যাচ্ছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং মার্কিন সংস্থা ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে যুক্ত একদল গবেষক এই দুটি ভ্যাকসিনর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে। যদিও দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা সফল হলও সেগুলি বাজারে আসতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে তিন স্তরের পরীক্ষা করা হবে। প্রথমে ইঁদুর, তার পর খরগোশ এবং শেষ ধাপে বাঁদরের শরীরে প্রয়োগ করে দেখা হবে। এই দুটি ভ্যাকসিন মানব দেহে প্রয়োগ নিরাপদ কি না তা খতিয়ে দেখবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা। চিন, জাপাম, আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারতসহ একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা এই মারণ ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভারতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমুউনোলজি (NII)—র গবেষকরা ইতিমধ্যে করোনার টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। দেশের সেরা দশজন বিজ্ঞানী সেখানে একসঙ্গে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন— করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাঙালি সাংবাদিক
প্রায় প্রতিটি দেশের গবেষকরাই বলেছেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে কম করে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। কারণ পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরও ভ্যাকসিন ঘোষণা করার মাঝে অনেকগুলি ধাপ থাকে। সেগুলি পূরণ করতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। সব থেকে বড় কথা, একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর অতি দ্রুত জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যার জেরে এই মারণ ভাইরাসের গতিবিধি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। আর পাঁচটা ভাইরাসের মতো করোনার চরিত্র স্থির থাকছে না।