ধর্মীয় মৌলবাদীদের সাজা নয়, নির্যাতিতা প্রিয়াকেই কাঠগড়ায় তুলল বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতনের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে তুলে ধরেছেন প্রিয়া সাহা। দুষ্কৃতীদের বিচার হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। কিন্তু সেই মহিলাকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলল বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানাল, প্রিয়া সাহার অভিযোগ ভয়ঙ্কর মিথ্যা।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ওনার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য সাজানো ঘটনা বলেও অভিহিত করেছে বাংলাদেশ। তাদের দাবি, প্রিয়া সাহার চরম মিথ্যা ও সাজানো গল্পের পিছনে অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আবার দাবি করেছেন, প্রিয়া সাহার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের নির্যাতিতা সংখ্যালঘু প্রতিনিধি প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লক্ষ) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান গায়েব হয়ে গিয়েছে। দয়া করে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা দেশেই থাকতে চাই। এখনও ১৮ মিলিয়ন (১ কোটি ৮০ লক্ষ) সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। আমি ঘর-বাড়ি হারিয়েছি। ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। জমি কেড়ে নিয়েছে। এর কোনও বিচার এখনও পাইনি।' কারা আপনার বাড়ি জ্বালিয়েছে? প্রশ্ন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রিয়া সাহা জবাব দেন, মুসলিম মৌলবাদিরা। তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে বাংলাদেশে।
Watch: Minority leader from Bangladesh asks US President @realDonaldTrump to protect minorities from Islamic fundamentalists, says 37 million 'Hindus, Christians and Buddhists have disappeared' pic.twitter.com/5FtDtiY0hu
— DNA (@dna) July 20, 2019
অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে থেকে শুরু করে ধর্মীয়স্থানে হামলার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সব ক্ষেত্রে অপরাধের পর পার পেয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনকি মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যাও দেখেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন- ইঞ্জিনে ডিম-সহ পাখির বাসা, দেড় মাস বসে রইলেন ট্রাকচালক