ধর্ষক- খুনিকে সাজায় যাবজ্জীবনের বদলে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে ইচ্ছামৃত্যু বেলজিয়ামে
ওয়েব ডেস্ক: ইউরোপ জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে মৃত্যুদণ্ড, কিন্তু এরপরেও ৫২ বছরের এক ধর্ষক-খুনি সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার অনুমতি দিল বেলজিয়ামের আদালত। সাজাপ্রাপ্ত সেই আসামির নাম ফ্র্যাঙ্ক ভান ডান ব্লেকেন। মোট চারবার সে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছে। ধর্ষণের পর খুনও করেছে সে। যাবজ্জীবন জেল খাটতে থাকা ফ্র্যাঙ্ক আর বাঁচাতে চাইছেন না। আদালতে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে 'সে বলে, বাকি জীবনটা জেলে থেক আর বাঁচার আর কোনও ইচ্ছাই তার নেই, এবার সে মরতে চায়।'
২০১১ সালে প্রথমবার সে এইরকম আবেদন করেছিল। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও বারবার একই আবেদন করায় আদালত গুরুত্ব দিয়ে ফ্র্যাঙ্কের আবেদন বিবেচনা করে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেয় লিথাল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ধর্ষণ, খুনে অভিযুক্ত এই আসামিকে ইচ্ছামৃত্যু দেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহেই হয়তো এই ইচ্ছামৃত্যুর সাজা কার্যকর হবে। সবচেয়ে কম কষ্টে এবং মানবিক ভাবে মারার পন্থা হিসাবে এই লিথাল ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। ৩ টা ইঞ্জেকশনের কম্বিনেশনে এটা করা হয়, যার প্রথমটা হচ্ছে TPS বা থায়ো পেন্টাল সোডিয়াম, যা প্রায় সাথে সাথে আসামী কে গভীর ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়, এরপর দেওয়া হয় প্যানকারোনিয়াম অথবা ভেকুরোনিয়াম বি।
১৯৮৯ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯ বছরের এক যুবতীকে নিউ ইয়ার ইভ পার্টিতে ধর্ষণ করার পর খুন করে সে। তবে মানিসকভাবে অসুস্থ থাকার অজুহাতে সে সাত বছর পর জেল থেকে ছাড়া পায়। এরপর তার লালসার শিকার হয় যথাক্রমে ১১,১৭, ২৯ বছরের আরও তিন মহিলা। সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। এরপর থেকে জেলেই আছে ফ্র্যাঙ্ক। ২১ বছর প্রথমবার সে জেল খাটে।
২০০২ সাল থেকে ইচ্ছামৃত্যুর নিয়ম চালু হয় বেলজিয়ামে।