চোখের আলো ফেরাতে কৃত্রিম দৃষ্টিশক্তি

দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে অত্যাধুনিক বায়োনিক আই বা যান্ত্রিক চোখ তৈরিতে সক্ষম হলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি বায়োনিক আইয়ে ব্যাটারির দরকার নেই। সোলার প্যানেল যেভাবে শক্তি জোগায় সেভাবেই আলোর সাহায্যে কাজ করবে এই নতুন বায়োনিক আই। কোনও পরিবাহী তারের প্রয়োজন না থাকায় এর ফলে অনেক সহজে চোখে অস্ত্রোপচার করা যাবে বলে গবেষকদের দাবি।

Updated By: May 15, 2012, 09:17 AM IST

দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে অত্যাধুনিক বায়োনিক আই বা যান্ত্রিক চোখ তৈরিতে সক্ষম হলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি বায়োনিক আইয়ে ব্যাটারির দরকার নেই। সোলার প্যানেল যেভাবে শক্তি জোগায় সেভাবেই আলোর সাহায্যে কাজ করবে এই নতুন বায়োনিক আই। কোনও পরিবাহী তারের প্রয়োজন না থাকায় এর ফলে অনেক সহজে চোখে অস্ত্রোপচার করা যাবে বলে গবেষকদের দাবি।     
রেটিনার অসুখে যাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তাঁদের আলোয় ফেরাতে বায়োনিক আই ব্যবহারে ইতিমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন ব্রিটেন ও আমেরিকার গবেষকরা। রেটিনার কোষগুলি মরে যাওয়ায় অন্ধ ব্যক্তির চোখে বসানো হয় বৈদ্যুতিন রেটিনা। দেড় হাজার অতি ক্ষুদ্র লাইট ডিটেক্টর সম্বলিত একটি ছোটো মাইক্রোচিপের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে বায়োনিক আই প্রযুক্তি। চিপটি রোগীর রেটিনার নিচে বসিয়ে দেওয়া হয়।  কানের পিছনে লাগানো ব্যাটারির সঙ্গে তার দিয়ে  জুড়ে দেওয়া হয় সেটিকে। রোগীকে দেওয়া হয় ক্যামেরা লাগানো চশমা। ক্যামেরাটি ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় মাইক্রোচিপে। চিপ থেকে সেই আলোক সঙ্কেত চলে যায় অপটিক নার্ভে। আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান রোগী। রোগীর অবস্থা ভাল হলে তিনি চোখের ডাক্তারের চার্টে লেখা একেবারে ওপরের সারির বর্ণগুলি দেখতে সক্ষম হন। আমেরিকায় এই বায়োনিক আই বসানোর খরচ ভারতীয় মুদ্রায় কমবেশি ১৫ লক্ষ টাকা।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, তাঁরা এমন এক বায়োনিক আই বা যান্ত্রিক চোখ তৈরি করেছেন, যা ব্যাটারি ছাড়াই কাজ করবে। নেচার ফোটোনিক্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণা। বায়োনিক আইয়ের এই নতুন সংস্করণে রেটিনার নিচে বসানো মাইক্রোচিপটি সাধারণ আলোর সাহায্যেই কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। ফলে, দরকার পড়বে না কানের পিছনে বসানো পরিবাহী তারের সঙ্গে সংযোগকারী ব্যাটারির। মার্কিন গবেষকদের দাবি, এর ফলে বৈদ্যুতিন রেটিনা প্রতিস্থাপন হয়ে উঠবে অনেক সহজ। এখনও পর্যন্ত অত্যাধুনিক এই বায়োনিক আইয়ের মানবদেহে পরীক্ষা হয়নি। তবে, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে ফল মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

.