Calyampudi Radhakrishna Rao: গণিতে 'নোবেলজয়' ভারতীয়ের! রয়েছে কলকাতা-যোগও...
Calyampudi Radhakrishna Rao: কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। ২০২৩ সালের 'আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার' পাচ্ছেন। মূলত তাঁর তিনটি মৌলিক গবেষণা স্ট্যাটিসটিক্সের ক্ষেত্রে আধুনিকতার পথ প্রশস্ত করেছিল। সেই তিনটি গবেষণাই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালের 'ক্যালকাটা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির বুলেটিনে'!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। চেনা নাম কি? সম্ভবত নয়। 'সি আর রাও' নামটি কি চেনা-চেনা লাগছে? হয়তো কিছুটা চেনা লাগছে। কথা হল, এই নামটি সদ্য ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে। ইনি প্রখ্যাত ভারতীয়-মার্কিন গণিতবিদ তথা পরিসংখ্যানবিদ। ২০২৩ সালের 'আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার' পাচ্ছেন। যে পুরস্কারটি গণিতের 'নোবেলে'র সমান।
আরও পড়ুন: Avalanche in Alps: তুষারধসে মৃত্যু! ভেঙে পড়ল হাজার মিটার লম্বা ১০০ মিটার চওড়া বরফের বিশাল চাঁই...
চিকিৎসা গবেষণা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ১০২ বছর বয়সী এই পরিসংখ্যানবিদ কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। আগামী জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট আয়োজিত ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিকস কংগ্রেসে সি আর রাওয়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারমূল্য ৮০,০০০ ডলার। ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিস্টিকস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই নেসন বলেছেন-- এই পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সি আর রাও-এর স্মরণীয় কাজগুলিকেই আসলে সম্মান জানাচ্ছি। তাঁর এই সব কাজ শুধু যে পরিসংখ্যানগত ভাবনার ক্ষেত্রেই বিপ্লব এনেছে তা নয়, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের ভাবনা-চিন্তার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে!
আরও পড়ুন: Alcoholic Labrador: প্রতি সন্ধ্যায় নিয়মিত মদ্যপান করে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলল এই কুকুরটি...
কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও ভারতীয় স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, জওহরলাল নেহরু অধ্যাপক এবং ভারতের জাতীয় অধ্যাপকের সম্মানে ভূষিত। তিনি পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর মাল্টিভ্যারিয়েট অ্যানালিসিসের এবারলি প্রফেসর, চেয়ার অব স্ট্যাটিস্টিক্স এবং ডিরেক্টর-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠিত থেকেছেন। বর্তমানে তিনি বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরিটাস। ১৯৬৮ সালে তিনি পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ পেয়েছিলেন।
কর্ণাটকের হাড়াগালিতে এক তেলগু পরিবারে জন্ম সি আর রাওয়ের। অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুলে পড়াশোনা। স্কুলশিক্ষা শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য এসেছিলেন কলকাতায়। ১৯৪৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যাটিস্টিকসে এমএ, অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে ডক্টরেট। ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ থেকেই ডিএসসি ডিগ্রি লাভ।
সব চেয়ে বড় কথা হল, এই পুরস্কারের সঙ্গেও জুড়ে রয়েছে কলকাতার নাম। তাঁর যে তিনটি মৌলিক গবেষণা পরিসংখ্যানবিদ্যার ক্ষেত্রে আধুনিকতার পথ প্রশস্ত করেছিল, সেই তিনটি গবেষণাই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালের 'ক্যালকাটা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির বুলেটিনে'। প্রথমটি হল 'ক্রেমার-রাও লোয়ার বাউন্ড'। দ্বিতীয়টি 'রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম'। তৃতীয়টি পরিচিত 'ইনফরমেশন জিওমেট্রি' নামে।