ভূটানের সঙ্গে রাজ্যের রেল ও সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী
ভূটানের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে উদ্যোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্যোগ নিলেন বাণিজ্যিক আদানপ্রদান বাড়াতেও। থিম্পুতে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে কাল দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। কথা বলেন সেদেশের শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গেও।
ব্যুরো: ভূটানের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে উদ্যোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্যোগ নিলেন বাণিজ্যিক আদানপ্রদান বাড়াতেও। থিম্পুতে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে কাল দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। কথা বলেন সেদেশের শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গেও।
ভূটানে পা রাখতেই বদলে গেল মেজাজ। প্রথমেই ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় একঘণ্টার বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীকে ছোট ভাই বলে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ডাকলেন দিদি বলে। কথা হল দুদেশের রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগের উন্নতি, বাণিজ্যিক আদান প্রদান নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও গৌতম দেব। আর কলকাতা থেকে এসেছেন বারোজন শিল্পপতি। বিকেলেই বৈঠক করলেন ভূটান ও বাংলার শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে। এমনিতে, ভূটানে সেই অর্থে কোনও বড় শিল্প নেই। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কিছু উন্নতি হয়েছে। কৃষির অবস্থা ভাল। অর্থনীতি বেঁচে রয়েছে পর্যটন ও জলবিদ্যুত্ বিক্রি করে। তবে এরই মধ্যে কীভাবে দুই দেশ বাণিজ্যিক আদানপ্রধান করতে তারও একটা ফর্মুলা বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা হোটেল খুলতে চান, তাঁদের জন্য জমি তৈরি। অন্যদিকে,ভূটানেও যাঁরা শিল্পস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য অসংখ্য সুযোগ। একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনেরও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে শিল্পসম্মেলনে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী সহ সল শিল্পপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন।
আটই অক্টোবর পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি। তবুও মাঝে মধ্যেই বেজে উঠছে ফোন। খবর আসছে কলকাতার। কখনও মেজাজ ভারী হয়ে যাচ্ছে। তবুও শুখা দেশ থেকে শিল্প আনতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী।