মিশরে ভোট শান্তিপূর্ণ
স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রথম পরীক্ষাটায় সসম্মানে উতরে গেল মিশর।
স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রথম পরীক্ষাটায় সসম্মানে উতরে গেল মিশর।
দেশজুড়ে বিক্ষোভের জেরে ফ্যারাওয়ের দেশে পার্লামেন্ট নির্বাচন ঘিরে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু হোসনি মুবারক পরবর্তী সময়ের প্রথম নির্বাচনের প্রথম দিন ছিল শান্তিপূর্ণ। আজ দ্বিতীয়দিনের ভোটগ্রহণও হয়েছে শান্তিতেই। তাহরির স্কোয়ারের বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ভোট বয়কট করলেও, মানুষের উত্সাহ কিন্তু চোখে পড়ার মত। ভোটকেন্দ্রে লম্বা সারিতে অপেক্ষমান জনতার কথা ভেবেই প্রথম দিন ভোটের সময়সীমা দু'ঘন্টা বাড়িয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সামরিক পরিষদ।
গতকাল ও আজ কায়রো, পোর্ট সৈয়দ, আলেকজান্দ্রিয়া, আসিয়ুট-সহ মোট ন'টি প্রদেশে ভোট হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বাকি প্রদেশগুলিতে ভোট শুরু হবে। প্রথম দফায় ৫০৮ সদস্যের পিপলস অ্যাসেমব্লির জন্য ভোট হচ্ছে। চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ, সুরা অ্যাসেমব্লির জন্য ২৯ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত।
জটিল এই প্রক্রিয়ায় ৪০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। এরপরই ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে নীল নদের তীরের সদ্য স্বৈরতন্ত্রমুক্ত রাষ্ট্রে। তবে মিশরের নতুন পার্লামেন্ট সেনার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি আন্তর্জাতিক মহলে।