ভূতের শহর চলে যাচ্ছে বালির তলায়
নামিবিয়ার পরিত্যক্ত শহর, নাম কলম্যানস্কোপ। এখন লোকে একে বলে ভূতের শহর। প্রায় ৫০ বছর আগে যে শহর একটা সময় জনবসতিতে পরিপূর্ণ ছিল। হীরের খনিজীবীর এই শহর গড়ে তুলে ছিলেন। কারণ ছিল একটাই মনে করা হয়েছিল এরই পাশে আছে হীরের খনি। প্রায় সাতশো পরিবারের বসবাস ছিল এই শহরে। কিন্তু সেভাবে কিছুই না মেলায় হতাশ হয়ে কলম্যানস্কোপ শহর ছাড়েন খনিজীবীরা। তারপর থেকেই পুরো শুনশান। পড়ে থাকে শুধু ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ভগ্ন বাজার-দোকান।
ওয়েব ডেস্ক: নামিবিয়ার পরিত্যক্ত শহর, নাম কলম্যানস্কোপ। এখন লোকে একে বলে ভূতের শহর। প্রায় ৫০ বছর আগে যে শহর একটা সময় জনবসতিতে পরিপূর্ণ ছিল। হীরের খনিজীবীর এই শহর গড়ে তুলে ছিলেন। কারণ ছিল একটাই মনে করা হয়েছিল এরই পাশে আছে হীরের খনি। প্রায় সাতশো পরিবারের বসবাস ছিল এই শহরে। কিন্তু সেভাবে কিছুই না মেলায় হতাশ হয়ে কলম্যানস্কোপ শহর ছাড়েন খনিজীবীরা। তারপর থেকেই পুরো শুনশান। পড়ে থাকে শুধু ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ভগ্ন বাজার-দোকান।
বছর পঞ্চাশ পর এই শহর এখন বিশ্বের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ। যতই হোক ভূতের শহর বলে কথা। তবে আফ্রিকার দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তের নামিবিয়ার এই ভূতড়ে শহর ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে বালির তলায়। ঝড়ে শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ির প্রায় অর্ধেক চলে গিয়েছে বালির নিচের। আসলে শোনা গিয়েছিল ১৯০০ সালে নাকি এই শহরের বালির তলা থেকে পাওয়া গিয়েছিল এক বহুমূল্য দুর্লভ হীরে। তারপরই একদল লোক এসে বসবাস শুরু করে কলম্যানস্কোপে।
গুজব ছড়িয়ে পড়ে কলম্যানস্কোপের বালির তলায় নাকি আছে একটা হীরের খনি। গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতের গতিতে। একের পর এক পরিবারে হীরের মোহে ভিড় জমান, বসবাস শুরু করেন এই শহরে। বালির ওপর গড়ে ওঠে অত্যাধুনিক এক শহর। তবে ৫০ বছর পর মোহ ভাঙে। হীরের খনি আরও দক্ষিণে সরে গিয়েছে বলে পাততাড়ি গুটিয়ে পালায় সবাই। এখন এই শহরে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক ছাড়া আর প্রাণের অস্তিত্ব নেই। বালির ঝড়ে শোঁ শোঁ আওয়াজ ভূতের শহরকে আরও ভৌতিক করে তোলে। এমন কথায় জানালেন এক পর্যটক।