যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোসনি মুবারকের
ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার ঠিক ১৬ মাসের মাথায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন হোসনি মুবারক। ২০১০-১১ সালের তাহরির স্কোয়্যারের গণবিক্ষোভের সময়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মিশরের ক্ষমতাচ্যূত একনায়ক।
ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার ঠিক ১৬ মাসের মাথায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন হোসনি মুবারক। ২০১০-১১ সালের তাহরির স্কোয়্যারের গণবিক্ষোভের সময়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মিশরের ক্ষমতাচ্যূত একনায়ক। রাজধানী কায়রোর পুলিস অ্যাকাডেমি-স্থিত বিশেষ আদালত যাবজ্জীবন জেলের সাজা শোনানোর সময় এজলাসে তারের জালে ঘেরা একটি জায়গার বিছানায় বসে ছিলেন অসুস্থ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৮৪ বছরের মুবারককে সাজা ঘোষণার জন্য হেলিকপ্টারে করে এদিন কায়রোর আদালতে নিয়ে আসা হয়।
মুবারকের পাশাপাশি তাঁর জমানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী হাবিব আল আদলেকেও তাহরির স্কোয়্যার গণবিক্ষোভে সশস্ত্র হামলা চালানোর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তবে ৬০,০০০ পাতার নথিপত্র, সাক্ষীদের বয়ান ও আনুষঙ্গিক দস্তাবেজ পরীক্ষার পরও ৩ দশকের একনায়কের দুই ছেলে গামাল ও আলার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিসংশয় হয়ে পারেননি বিচারক আহমেদ রেফাত। তাই তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রমাণাভাবে মুক্তি পেয়েছেন, মুবারকের আমলের ৬ উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকও। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে ২০১১-র ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মুবারক। এর পরি গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত ৩ অগাস্ট থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘোরাটোপে থাকা পুলিস অ্যাকাডেমি আদালতে তাঁর বিচার শুরু হয়।