জল সঙ্কট মেটাতে নাগরিকের কাছেই শরণাপন্ন ইমরান

ইমরান জানিয়েছেন, এক সময় প্রত্যেক পাকিস্তানি ৫৬০০ কিউবেক মেট্রিক জল পেত। কিন্তু এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১০০০ কিউবেক মেট্রিক। এই জল সঙ্কট মেটাতে প্রত্যেক পাক নাগরিকদের কাছে এক হাজার ডলার অনুদান সাহায্য চাইল ইমরান সরকার

Updated By: Sep 8, 2018, 02:06 PM IST
জল সঙ্কট মেটাতে নাগরিকের কাছেই শরণাপন্ন ইমরান
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: জল সঙ্কট এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে ভয়াবহ সমস্যা বলে জানালেন নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই সঙ্কট দূর করতে ইমরান শরণাপন্ন হলেন প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছেই। শুক্রবার এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে ইমরান খান জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত দেশ। তাঁর কথায়, “কোনও সন্দেহ নেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমাদের দেশ। ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ কাঁধে। তবে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সঙ্কট হল জল।” বাঁধ তৈরি জন্য অর্থ সাহায্য পেতে জনগণের কাছেই দ্বারস্থ হলেন ইমরান খান।

আরও পড়ুন- জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল নয়া পাক প্রেসিডেন্টের পরিবারের

ইমরান জানিয়েছেন, এক সময় প্রত্যেক পাকিস্তানি ৫৬০০ কিউবেক মেট্রিক জল পেত। কিন্তু এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১০০০ কিউবেক মেট্রিক। এই জল সঙ্কট মেটাতে প্রত্যেক পাক নাগরিকদের কাছে এক হাজার ডলার অনুদান সাহায্য চাইল ইমরান সরকার। ইমরানের এই ঘোষণা পাক রাজনীতিতে অভিনব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, বিদেশে কর্মরত পাক নাগরিকদের কাছেই সাহায্য চেয়েছেন তিনি। ইমরান বলেন, “প্রত্যেক প্রবাসী পাকিস্তানি যদি ১০০০ ডলার সাহায্য করে অনায়াসে তৈরি হয়ে যাবে বাঁধ।” এমনকি নাগরিকদের দেওয়া অনুদানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেই নেবেন বলে ইমরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, মধ্য-এশিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী পাক নাগরিকের থেকে ইমরান বেশি ভরসা করছেন আমেরিকা এবং ইউরোপের সমৃদ্ধশালী দেশে থাকা নাগরিকদের উপর।

আরও পড়ুন- ইমরানের আসল ক্ষমতা তাঁর তান্ত্রিক বিবির হাতের, মন্তব্য লেখক তারেক ফাতাহ-র

পাকিস্তান জল পেতে অধিকাংশটাই নির্ভর করতে হয় ভারতের উপর। ভারতের উপর দিয়ে বয়ে আসা সিন্ধু নদ-সহ অন্যান্য নদীর ৮০ শতাংশ জল পেয়ে থাকে ইসলামাবাদ। ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের তুলনায় জলের অধিকার অনেকটাই বেশি পাকিস্তানের। তবে, সম্প্রতি ঝিলমের উপর কৃষ্ণগঙ্গা জলবিদ্যুত্ প্রকল্প ভারত উদ্বোধন করায় অস্বস্তিতে রয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া, পাকিস্তানের ক্রমাগত সন্ত্রাস হামলা জেরে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে নয়া দিল্লি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিন্ধু চুক্তি ভারত পুরোপুরি বাতিল না করলেও, বিভিন্ন নদীতে বাঁধ তৈরি করে জলের গতি কমিয়ে বিপদে ফেলতে পারে ইসলামাবাদকে। প্রতিবেশী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোন পথে নিয়ে যান নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী, সে দিকেই জল মাপছে মোদী সরকার।  

.