হিমালয়ের বন্ধু আল্পস! সুইস শৃঙ্গের চূড়ায় আলোকিত তেরঙা, করোনা—যুদ্ধে ঐক্যের ডাক
মনোবল হারালে চলবে না। লকডাউন পালন করতে হবে। লড়তে পারলে আশার আলো দেখা যাবে ঠিক। এই বার্তা দিতেই এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল সুইজারল্যান্ড।
নিজস্ব প্রতিবেদন— হিমালয়—আল্পসের বন্ধুত্ব! ভারতের পাশে সুইজারল্যান্ড। তবে এই দুঃসময়ে বিশ্বের সব দেশই পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে চায়। বৈরিতা ভুলে বন্ধুর মতো হাতে হাত রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে চায়। আর গোটা বিশ্বের সামনে এখন শত্রু তো একটাই। করোনাভাইরাস। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই গোটা বিশ্বকে এক হয়ে লড়াই করার ডাক দিয়ে অভিনব উদ্যোগ নিল সুইজারল্যান্ড। আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গে আলোকিত করা হল ভারতীয় পতাকা। পাশাপাশি আমেরিকার পতাকাও আলোকিত হল এই পর্বতের শৃঙ্গে। অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী।
সুইৎজারল্যন্ড এবং ইতালির সীমান্তে ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গের চূড়ায় এই আলোর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন শিল্পী জেরি হফসটেটার। ওয়েবক্যাম—এর মাধ্যমে এই অসাধারণ দৃশ্য বিশ্ববাসীকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেনেভাতে ভারতীয় দূতাবাসের অফিসার গুরলিন কউর সেই ছবি টুইটারে শেয়ার করেন। সুইস দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এই অসাধারণ দৃশ্য শেয়ার করা হয়েছিল। ভারত, আমেরিকা ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দেশের জাতীয় পতাকা আলোকিত করা হয় আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গের চূড়ায়। রাতের অন্ধকারে সেই দৃশ্য মনোরম বললেও হয়তো কম বলা হবে।
আরও পড়ুন— ইউরোপ, এশিয়ায় তাণ্ডবের পর করোনার পরবর্তী টার্গেট কী! সতর্ক করল WHO
Switzerland expresses solidarity with India in its fight against #COVID19. Swiss mountain of #Matterhorn lit in tricolour. Friendship from Himalayas to Alps
Thank you @zermatt_tourism#Together_against_Corona @IndiainSwiss @MEAIndia @IndiaUNGeneva pic.twitter.com/O84dBkPfti— Gurleen Kaur (@gurleenmalik) April 18, 2020
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। গবেষকরা বলেছেন, টিক আবিষ্কার ছাড়া নিস্তার নেই। লকডাউনের মাধ্যমে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে। সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে। সরকারি নির্দেশ মেনে মানুষ এখন তাই ঘরে বন্দি। এ যেন অস্তিত্ব সঙ্কট। প্রতিদিন সকালে উঠে শুনতে হচ্ছে নতুন করে বহু মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর। রোজই মারা যাচ্ছে মানুষ। এমন সময়ে মনোবল হারালে চলবে না। লকডাউন পালন করতে হবে। লড়তে পারলে আশার আলো দেখা যাবে ঠিক। এই বার্তা দিতেই এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল সুইজারল্যান্ড। গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে গেল এই প্রদর্শনী।