International Day of Happiness 2022: যাও সুখের সন্ধানে যাও! কিন্তু কী ভাবে মিলবে সুখ?
২০ মার্চ সারা পৃথিবীতে পালন করা হয় সুখদিবস। জাতিসঙ্ঘ দিনটিকে মান্যতা দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কবি খেদ করে বলেছেন বটে 'সুখের কথা বোলো না আর দুঃখে আমি ভালো থাকি'; কেন বলেছেন? কারণ 'সুখ দিয়ে যায় কেবল ফাঁকি'। তবুও সাধারণ মানুষ সুখের সন্ধানেই ঘোরেন-ফেরেন।
কথাটা আজ আরও বেশি করে উঠছে কারণ, আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। ২০ মার্চ সারা পৃথিবীতে পালন করা হয় এই সুখদিবস। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সংসদ দিনটি উদযাপন করে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুখের কতটা প্রাধান্য সেটা বোঝাতেই দিনটি পালিত হয়। ভালো ভাবে বেঁচে-বর্তে থাকতে সাধারণ মানুষের মন ও স্বাস্থ্যের সর্বাঙ্গীন উন্নতিবিধানের জন্য সুখের প্রয়োজন। সুখ কোনও বিলাসিতা নয়; সুখ সুস্থ সামাজিক জীবনযাপনের জন্য একটা জরুরি বিষয়।
কিন্তু সুখ কী ভাবে আসবে?
একটাই রাস্তা। আর্থিক ভাবে মোটামুটি স্বচ্ছল থাকা। তা না হলে শরীর-মনের পুষ্টিবিধান হবে না। পেটে ঠিকঠাক খেতে না পেলে, পরনে ঠিকঠাক পরতে না পেলে দৈনন্দিন জীবনের ন্যূনতম চাহিদাগুলি পূর্ণ না হলে মানুষ সদা সর্বদা উত্তেজিত বিক্ষিপ্ত রিক্ত বিরক্ত থাকবেন। কাজে মন বসবে না। শীরিরিক বৃদ্ধি বা মানসিক সমৃদ্ধিও ঘটবে না। তাই সমাজবিদেরা দেখেছেন, প্রাথমিক ভাবে সুখের চাবিকাঠি হল অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য। তাই এই দিনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।
অবশ্য নিজেদের নিত্যদিনের চাহিদা কমিয়ে নিয়ে অল্প আয়োজনের মধ্যে নিজেদের গুছিয়ে-থিতিয়ে রাখার পদ্ধতিটাও সুখে থাকার ক্ষেত্রে কাজে আসে। বাহুল্য বর্জনের মধ্যে দিয়ে স্বল্পে সন্তুষ্ট থাকাই হল সুখের সন্ধানে যাওয়া।