উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার ব্রিটিশ পুলিসের
ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু সেই রক্ষাকবচ তুলে নেয় ইকুয়েডর। তার পরই তাঁকে ডাকা হয় লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে। সেখানেই লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার। তাঁকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটিশ পুলিস। ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে তিনি ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন।
AFP News Agency : British police arrest Wikileaks founder Julian Assange pic.twitter.com/Gry9G3wULw
— ANI (@ANI) April 11, 2019
অস্ট্রেলীয় নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য নিয়ে এক সময় হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে তিনি ব্রিটেন থেকে জামিনও নিয়েছিলেন।
অ্যাসাঞ্জের দাবি ছিল, তাঁকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হলে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে গ্রেফতার করা হবে। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য নিয়ে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাঠগড়ায় তুলবে।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী জমায়েতে গাড়ির মাথায় উঠে বক্তৃতা দিয়ে বিখ্যাত সুদানের তরুণী
ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু সেই রক্ষাকবচ তুলে নেয় ইকুয়েডর। তার পরই তাঁকে ডাকা হয় লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে। সেখানেই লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে।
This is the moment WikiLeaks founder Julian Assange was arrested at the Ecuadorian embassy in central London - where he lived since 2012.
Police were invited into the embassy by the Ecuadorean ambassador - read the full story here: https://t.co/MkyANHxH8x pic.twitter.com/cEChnHQBbN
— Sky News (@SkyNews) April 11, 2019
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভিদ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন ইকুয়েডর দূতাবাসকে। অ্যাসাঞ্জ এখন পুলিসি হেফাজতে। তাঁর সঠিক বিচার হবে। ব্রিটেনে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে বিজয় মালিয়ার আর্জি খারিজ ব্রিটেনের আদালতে
ব্রিটেনের পুলিস কখনোই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু গোপনে তারা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে আদালতে এ নিয়ে একটি নথি জমা দেওয়া হয়। তখন জানা গিয়েছিল, কোনও একটি মামলার ভ্রম সংশোধনের জন্য ওই নথি পেশ করা হয়েছে।
তবে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মাস খানেক আগে থেকেই তা বোঝা যাচ্ছিল। কারণ, মার্চ মাস তাঁর ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখাও করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: ভারত ফের হামলা চালাতে পারে, আতঙ্কে রাতে ঘুম হচ্ছে না পাকিস্তানের
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।