মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ড
মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ডের সাজা হল। ২০০১ সালে গণ জেল ভাঙার এক মামলায় মুরসিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল মিশরের এক আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে মুরসিসহ ১৩০ জন ব্যক্তি জেল ভেঙে পালানোর সময় কয়েকজন কারারক্ষী ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। এই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর চরম সাজা হল।
ওয়েব ডেস্ক: মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ডের সাজা হল। ২০০১ সালে গণ জেল ভাঙার এক মামলায় মুরসিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল মিশরের এক আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে মুরসিসহ ১৩০ জন ব্যক্তি জেল ভেঙে পালানোর সময় কয়েকজন কারারক্ষী ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। এই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর চরম সাজা হল।
ইতিমধ্যেই অন্য একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২০ বছরের কারাবাস হয়েছে। আরব বসন্তের আন্দোলনের হোসনে মুবারক সরিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুরসি। তিনিই হলেন মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
মুরসি সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের মুখে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় মিশরের সেনাবাহিনী। এরপর মুরসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার রায়ে গণ-মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মুরসির পতনের পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে মিশর কর্তৃপক্ষ। মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন। কিন্তু ইসলামি শরিয়্যাহ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে কঠোর বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় দেশটির পরাক্রমশালী সেনাবাহিনী। মুসলিম ব্রাদারহুডের অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করে মিশর কর্তৃপক্ষ।