সিরিয়া ইস্যুতে জি টোয়েন্টি থেকে খালি হাতেই ফিরছেন ওবামা

সিরিয়া ইস্যুতে জি টোয়েন্টি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল বারাক ওবামাকে। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে মিত্রদেশগুলির অধিকাংশের সায় নেই।  ওবামার  ভরসা এখন মার্কিন কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহেই কংগ্রেসের দুই কক্ষে ভোটাভুটি। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বা চাপ বাড়ানোর রাস্তা থেকে পিছু হটছেন না বারাক ওবামা। পাল্টা চাপ বাড়িয়ে সিরিয়ার দিকে আরও একটি রণতরী পাঠিয়েছে রাশিয়া।

Updated By: Sep 8, 2013, 09:33 AM IST

সিরিয়া ইস্যুতে জি টোয়েন্টি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল বারাক ওবামাকে। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে মিত্রদেশগুলির অধিকাংশের সায় নেই।  ওবামার  ভরসা এখন মার্কিন কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহেই কংগ্রেসের দুই কক্ষে ভোটাভুটি। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বা চাপ বাড়ানোর রাস্তা থেকে পিছু হটছেন না বারাক ওবামা। পাল্টা চাপ বাড়িয়ে সিরিয়ার দিকে আরও একটি রণতরী পাঠিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে জি টোয়েন্টির মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের মিত্র দেশগুলির অনুমোদন আদায় করে নিতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন আদায়ের পথ মসৃন করতে সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছনোর আগে দৌত্য শুরু করে দেন। কিন্তু সম্মেলন শেষে ঐকমত্য গড়তে ব্যর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কানাডা, সৌদি আরব, ফ্রান্স, তুরস্ক বাদ দিয়ে পাশে নেই কেউ। এমনকী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সকইস ওলান্দো শেষমেষ খানিকটা বেকে বসেছেন। 
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট আসার আগেই সামরিক অভিযান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। ফলে বহির্বিশ্বে সমর্থনের জোটাতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছেন বারাক ওবামা। আপাতত ভরসা মার্কিন কংগ্রেস। সামনে সপ্তাহে সিরিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে সেনেট, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে ভোটাভুটি শুরু হবে।

তবে শুধু মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন নয় দেশবাসী বাসীকেও পাশে চাইছেন ওবামা। আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউস থেকে যুদ্ধাভিযান নিয়ে দেশের আমজনতার সমর্থন চাইবেন তিনি। বাইরের দুনিয়ার সমর্থন আদায় নিয়ে হাল ছাড়তে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে চারদিনের ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। লিথিওনিয়া, প্যারিস হয়ে ব্রিটেন যাবেন তিনি। ব্রিটেনের বিদেশসচিব উইলিয়াম হগের সঙ্গে  একপ্রস্থ আলোচনা সারবেন মার্কিন বিদেশসচিব। সিরিয়ার সামরিক অভিযান না চালালে আন্তর্জাতিক শিবিরের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে বলে যুক্তি সাজাচ্ছেন ওবামা।
আসাদ সরকারের এই হামলা শুধু সিরিয়ার পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক নয়, বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি বিপদ সঙ্কেত। প্রতিবেশী রাষ্ট্র তুরস্ক, জর্ডন, লেবানন, ইরাক, ইজরায়েল আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মধ্য প্রাচ্যে অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে। জঙ্গি সংগঠনের হাতে এইসব অস্ত্র গিয়ে পড়লে তার ফল হবে মারাত্মক।
 
দেশবাসী এবং বিশ্বের মিত্রদেশগুলির সমর্থন নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাফাই সিরিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তান হবে না। একদশক ধরে চলা যুদ্ধের ফলে মার্কিন রাজকোষে যে চাপ পড়েছে তাকে ভালভাবে নেয়নি দেশবাসী। তাই ওবামা বলছেন যেকোনও পদক্ষেপ করলেই তা সময় বেধে করা হবে। চিন ও রাশিয়ার তীব্র বিরোধিতা, ঘরোয়া চাপের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়াই এখন বারাক ওবামার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

.