স্কুলে জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করতে এবার পড়ুয়াদের বন্দুক চালনার শিক্ষা দেবে পাকিস্তান
মাত্র দেড় মাস আগের ঘটনা। দিনটা ১৬ ডিসেম্বর ১০১৪। পেশোয়ারে সেনা স্কুলে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৩২ শিশু সহ ১৫০ জন। সেই স্মৃতি এখনও দগদগে মানুষের মনে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তাই এবার সেনা স্কুলেই বন্দুক চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
ওয়েব ডেস্ক: মাত্র দেড় মাস আগের ঘটনা। দিনটা ১৬ ডিসেম্বর ১০১৪। পেশোয়ারে সেনা স্কুলে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৩২ শিশু সহ ১৫০ জন। সেই স্মৃতি এখনও দগদগে মানুষের মনে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তাই এবার সেনা স্কুলেই বন্দুক চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
খাইবার পাখতুনওয়ালা প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী আতিফ খান বলেন, যদি কোনও শিক্ষক স্কুলে বন্দুক নিয়ে আসতে চান তাহলে তিনি নিয়ে আসতে পারেন। প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী মুস্তাক ঘানি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন যেহেতু এইসব সরকারি স্কুলে প্রাদেশিক পুলিস গার্ড রাখা যায় না, তাই আমরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে আত্মরক্ষা ও স্কুলের নিরাপত্তার খাতিরে বন্দুক তুলে দিচ্ছি। ৩৫,০০০ স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে দেওয়ার মতো এত পুলিস পাখতুনওয়ালা প্রদেশের কাছে নেই। তাই দুই দিনের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বন্দুক চালনা শেখানো হবে।
গত ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের স্কুলগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। উঁচু করা হয়েছে স্কুলবাড়ির পাঁচিল, ঘেরা হয়েছে লোহার তারের বেষ্টনীতে। বাড়ানো হয়েছে পুলিসের সংখ্যাও। বেসরকারি স্কুলগুলিতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। তবে প্রাইভেট স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মালিক খালিদ খান বন্দুক তুলে নিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "ক্লাসে এক হাতে বন্দুক, এক হাতে কলম নিয়ে পড়ানো কী করে সম্ভব? এটা আমাদের কাজ নয়, আমাদের কাজ ওদের বই নিয়ে পড়ানো। ক্লাসে একজন শিক্ষকের হাতে বন্দুক থাকলে তা পড়ুয়াদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে।"