হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির উপর মঙ্গলে বসবাসের প্র্যাকটিস পর্ব শুরু
মঙ্গল যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি জিনিসের কেনাকাটা সেরে ফেললেন নিল স্কেইবেলহাট। ওয়ালমার্টে গাড়ি থামিয়ে কিনে ফেললেন মাউথ ওয়াশ আর ডেন্টাল ফ্লস।
ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গল যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি জিনিসের কেনাকাটা সেরে ফেললেন নিল স্কেইবেলহাট। ওয়ালমার্টে গাড়ি থামিয়ে কিনে ফেললেন মাউথ ওয়াশ আর ডেন্টাল ফ্লস।
স্কেইলবেলহাট আদতে পৃথিবীনিবাসী কোনও মহাকাশচারী নন। কিন্তু আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই আরও ৫ জনকে সঙ্গী করে হাওয়াইয়ের একটি আগ্নেয়গিরির উপর ৮ মাসের জন্য গম্বুজ আকৃতির একটি বাড়ির বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। উপলক্ষ্য, প্রায় লালগ্রহের আবহাওয়া ও পরিবেশে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা।
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি প্রকৃতপক্ষে নাসা অনুমোদিত গবেষণার অঙ্গ। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানও দেবে নাসা। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য সভ্যতা থেকে বহু দূরে মঙ্গলের মত পরিবেশে কীভাবে একদল মানুষ জীবন নির্বাহ করতে পারে।
২০৩০ সালে মঙ্গলের বুকে মানুষের পদচারণার আশা করছে নাসা। সেক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের মঙ্গলে যেতেই সময় লাগবে ছ'মাস। সেখানে আনুমানিক ৫০০ দিন থাকবেন তাঁরা। তারপর ফের পৃথিবীর বুকে ফিরে আসতে সময় লাগবে আরও ছ'মাস। তার আগে এত দীর্ঘদিন মানুষ সভ্যতা থেকে এতদূরে মহাকাশযান ও মঙ্গলের বুকে কীভাবে মহাকাশচারীরা থাকবেন তারই আনুমানিক ফলাফল পরিলক্ষ্যিত করার উদ্দেশ্যেই হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির উপর বসবাসের ব্যবস্থা করেছে নাসা।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিমবারলি বিনস্টেড জানিয়েছেন ''এই মুহূর্তে এই ধরণের পরিস্থিতি বসবাস করার সময় কী ধরণের মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে তা একেবারেই পরিষ্কার নয়। যতদিন তার মোটামুটি একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে ততদিনপর্যন্ত নাসা লালগ্রহের বুকে মানুষের অভিযানে উদ্যোগী হবে না।''
দীর্ঘদীন সবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে তীব্র মানসিক অবসাদ জন্ম নিতে পারে। হতে পারে ব্যক্তিত্বের সংঘাত।
বিনস্টেড আরও জানিয়েছেন হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির উপর বসবাস স্থাপনের মাধ্যমে নাসা জানতে চাইছে কোন ধরণের মানসিকতার মহাকাশচারীরা মঙ্গল অভিযানের পক্ষে উপযুক্ত এবং নাসা কীভাবে লালগ্রহ অভিযান কালে মহাকাশচারীদের সহযোগিতা করতে পারবে তারই মোটামুটি একটা ধারণা করতে চাইছে।