Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে রুশ হামলায় ধ্বংস বিশ্বের সর্ববৃহত্ বিমান Antonov-225
১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে এটির ডিজাইন করা হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউক্রেনে নাগাড়ে বোমাবর্ষণ করে চলেছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভেও ঢুকে পড়েছে পুতিনের বাহিনী। এরমধ্যেই বড় খবর হল, রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান অ্যান্টোনভ ২২৫(Antonov-225)। এটির পোশাকি নাম মৃয়া। এর অর্থ স্বপ্ন।
কিয়েভের কাছে হসটোমেল বিমানঘাঁটিতে বিমানটি পার্ক করা ছিল। ওই বিমানবন্দরে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। বিমানটি ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাদের 'মৃয়া' শেষ করা যাবে না। ফের তৈরি হবে Antonov-225।
বিমানটি ছিল ৮৪ মিটার লম্বা। একসঙ্গে এটি বয়ে নিয়ে যেতে পারত ২৫০ টন মালপত্র। ঘণ্টায় এটির গতি ছিল ৮৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এটিকে ফের তৈরি করতে খরচ হতে পারে ৩ বিলিয়ন ডলার। সময় লাগবে ৫ বছর।
The biggest plane in the world "Mriya" (The Dream) was destroyed by Russian occupants on an airfield near Kyiv. We will rebuild the plane. We will fulfill our dream of a strong, free, and democratic Ukraine. pic.twitter.com/Gy6DN8E1VR
— Ukraine / Україна (@Ukraine) February 27, 2022
বিদেশমন্ত্রী দিমত্রো কুলেবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান। রাশিয়া হয়তো Antonov-225 ধ্বংস করতে পারে কিন্তু ইউরোপের একটি স্বাধীনৃ, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া থেকে রুখতে পারে না।' সিএনএন একটি রিপোর্ট অনুয়ায়ী উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে হসটোমলে যেখানে বিমানটি পার্ক করা ছিল সেই জায়গাটি এখন ধ্বংস্তূপের আকার নিয়েছে। অন্যদিকে, নাসা-র দাবি শনিবার সকাল ১১.১৩ নাগদ আগুন জ্বলতে দেখা যায় ওই বিমানঘাঁটিতে।
১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে এটির ডিজাইন করা হয়েছিল। এর একটি ডানার দৈর্ঘ ২৯০ ফিট। তবে এটিতে যাত্রী পরিবহণ করা হতো না। পণ্য পরিবহণের জন্য কাজে লাগানো হতো। বিমানটিকে দেখতেই ইউক্রেনে আসতেন বিশ্বের বহু মানুষ। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের এয়ার শো-তেও এটি দেখতে ভিড় জমাতেন বহু মানুষ। এটি তৈরি করেছিল কিয়েভের Antonov কোম্পানি। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই অতিমারীর সময়েও বিভিন্ন দেশে ওষুধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম পাঠানো হয় এটির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন-'আনিসেরও ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখতে হবে', সরব নির্মল মাজি