Journalist Death: ঝিল থেকে উদ্ধার সাংবাদিকের দেহ, 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ', দাবি হাসিনাপুত্র জয়ের...
Sheikh Hasina | Sajeeb Wajed Joy | Bangladesh: 'বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এটি আরেকটি নৃশংস হামলা। গাজী টিভি ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদ চ্যানেল', বাংলাদেশের সাংবাদিক খুন হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথাই লেখেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। মঙ্গলবার ঢাকার হাতিরঝিল লেক সাংবাদিক সারাহ রাহানুমার মরদেহ উদ্ধার করে এক পথচারী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার ঢাকার হাতিরঝিল লেক থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির সাংবাদিক সারাহ রাহানুমার (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সারাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক পথচারী। সেই ব্যক্তি বলেন, 'আমরা রাতে হাতিরঝিলের পানিতে এক নারীকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কাছ থেকে অফিসের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়'।
আরও পড়ুন- #MeToo in Mollywood: যৌন হেনস্থার শিকার ১৭ জন অভিনেত্রী, অভিযোগ জানাতেই মুহুর্মুহু হুমকি...
রাহানুমা সারাহ গাজি টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি ঢাকার কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে সারাহর আদি বাড়ি নোয়াখালীতে। মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট মধ্যরাতে অচেতন অবস্থায় পথচারীরা সারাহ রাহানুমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে রাত সওয়া ২টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই নিয়ে ফেসবুকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajib Wajed Joy) তাঁর পোস্টে সাংবাদিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বুধবার তিনি লেখেন, ‘গাজী টিভির নিউজরুম এডিটর সারাহ রাহানুমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঢাকার হাতিরঝিল লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এটি আরেকটি নৃশংস হামলা। গাজী টিভি ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদ চ্যানেল। যার মালিক গোলাম দস্তগীর গাজী সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন- Subhashree Ganguly: 'মোমবাতি নয়, ধর্ষককে জ্বালাও', এবার দোষীদের 'মৃত্যু'র পক্ষে সওয়াল শুভশ্রীর...
অন্যদিকে সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, 'আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি'। তবে তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে বাড়ছে সংশয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)