সোমালি জলদস্যুদের হাতে পণবন্দি ১১ ভারতীয় নাবিক
মাস কয়েকের ব্যবধানে ফের আরব সাগরের বুকে বড় ধরনের আঘাত হানল সোমালি জলদস্যুরা। এবার গ্রিসের একটি তৈলবাহী জাহাজের ১১ জন ভারতীয় নাবিককে পণবন্দি করল তারা। জানা যাচ্ছে ওমানের মাসরিয়া দ্বীপের কাছে থেকে এম টি স্মিরনি নামে একটি গ্রিক তেলের ট্যাঙ্কার ছিনতাই করেছে জলদস্যুরা।
মাস কয়েকের ব্যবধানে ফের আরব সাগরের বুকে বড় ধরনের আঘাত হানল সোমালি জলদস্যুরা। এবার গ্রিসের একটি তৈলবাহী জাহাজের ১১ জন ভারতীয় নাবিককে পণবন্দি করল তারা। জানা যাচ্ছে ওমানের মাসরিয়া দ্বীপের কাছে থেকে এম টি স্মিরনি নামে একটি গ্রিক তেলের ট্যাঙ্কার ছিনতাই করেছে জলদস্যুরা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর জলদস্যুরা গ্রিক ট্যাঙ্কারটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আটক ভারতীয়রা এম টি স্মিরনির নাবিক বলে জানা যাচ্ছে। ছিনতাই হওয়া তেলের ট্যাঙ্কারটিতে ১০লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য ১১ কোটি ৫৫ লক্ষ ডলার। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ম্যারিটাইম ব্যুরো জানিয়েছে জনাদশেকের জলদস্যু-দলটির কাছে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, রকেট লঞ্চার-সহ নানা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
অপহৃত ভারতীয় নাবিকদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে তাদের কাছে এম টি স্মিরনির ছিনতাই ও নাবিকদের অপহরণের খবর এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে স্পেনের জাহাজ এসপিএস প্যাটিনো`র সঙ্গে সোমালি জলদস্যুদের বড় ধরণের লড়াই হয়েছিল। প্যাটিনোর সশস্ত্র রক্ষীরা আটক করে ৬ জন জলদস্যুকে। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই পানামা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দু`টি কোম্পানির যৌথ মালিকানাধীন জাহাজ `এম টি রয়্যাল গ্রেস`-এর ২২ জন নাবিককে পণবন্দি বানায় জলদস্যুরা। মার্চ মাসে বলিভিয়া ও ইরানের দু`টি সংস্থার মালিকানাধীন জাহাজ `এম ভি এগলান্টাইন` ব্রাজিল থেকে চিনি নিয়ে ফেরার পথে এডেন উপসাগরের কাছে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। কিন্তু ইরানের এলিট মেরিন কম্যান্ডোরা ঝটিতি অভিযান চালিয়ে জাহাজটি মুক্ত করে।