সৌদি রাজকুমারীর বাড়িতে ক্রীতদাস, ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলারে জামিন
বাড়িতে ক্রীতদাস রাখার অভিযোগে বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা আনা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন সৌদি রাজকুমারী মেশেল আলায়বান। বৃহস্পতিবারই জামিনে পেয়ে গেলেন মেশেল। জামিনের অঙ্ক ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। যদিও তাঁর গতিবিধির ওপর সর্বক্ষণ রয়েছে কড়া পুলিসি নজর। যাতে তিনি কোনওমতেই এখন ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে যেতে না পারেন তার জন্য চলছে জিপিএস ট্র্যাকিংও।
বাড়িতে ক্রীতদাস রাখার অভিযোগে বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা আনা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন সৌদি রাজকুমারী মেশেল আলায়বান। বৃহস্পতিবারই জামিনে পেয়ে গেলেন মেশেল। জামিনের অঙ্ক ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। যদিও তাঁর গতিবিধির ওপর সর্বক্ষণ রয়েছে কড়া পুলিসি নজর। যাতে তিনি কোনওমতেই এখন ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে যেতে না পারেন তার জন্য চলছে জিপিএস ট্র্যাকিংও।
মেশেলের আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে সৌদি রাজকুমার আবদুলরহমান বিন নসির বিন আবদুলাজিজ আল সৌদের ৬ স্ত্রীর একজন তিনি। মেশেলের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন এক কেনিয়ান মহিলা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন মেশেল তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে আটকে রেখেছেন ও তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করছেন। অভিযোগ শুনে সান্টা আনার জেলা জজের বক্তব্য অনুযায়ী, এক ক্রীতদাস মালিকের সঙ্গে যোগ রয়েছে মেশেলের। তিনি জানান, আজ থেকে ১৫০ বছর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রীতদাস প্রথা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। সেখানে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার এই ঘটনা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। মেশেলের জামিনের অঙ্ক অন্তত ২ কোটি মার্কিন ডলার করতেও অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
যদিও মেশেলের আইনজীবী জানিয়েছেন ঘরেরে কাজকর্ম নিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল মেশেলের। তার জেরেই এই অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি মেশেলকে। আদালতের অনুমতি ছাড়া অরেঞ্জ কান্ট্রির বাইরেও যেতে পারবেন না মেশেল। পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, যখন তিনি মেশেলের সঙ্গে কাজ করার জন্য দেশে ছেড়েছিলেন সেইসময় তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়। নিজের ৭ বছরের অসুস্থ মেয়ের চিকিতসার খরচ জোগার করতে কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মেশেল তাঁকে যেই বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার মাত্র একটি ভগ্নাংশ তাঁকে দেওয়া হত মাসের পর মাস। জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল। এরপর মেশেলের পরিবারের সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন অভিযোগকারিনী। সেখানেই হঠাত্ বাস থেকে নেমে পালিয়ে গিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তদন্তে নেমে মেশেলের বাড়িতে গিয়ে পুলিস আরও ৪ জন ফিলিপিন্সের মহিলার সন্ধান পেয়েছ। যাঁরা প্রত্যেকেই পুলিসকে জানিয়েছেন তাঁরা মুক্ত হতে চান।