ক্লিনটনকে ‘হারিয়ে’ শাটডাউনে নজির ট্রাম্প প্রশাসনের

বৃহস্পতিবার টেক্সাসে গিয়ে মার্কিন সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রুখতে আরও বেশি জায়গা জুড়ে দেওয়াল তৈরি প্রয়োজন

Updated By: Jan 12, 2019, 06:22 PM IST
ক্লিনটনকে ‘হারিয়ে’ শাটডাউনে নজির ট্রাম্প প্রশাসনের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন ইতিহাসে রেকর্ড গড়ল অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মেয়াদ। শনিবার ২২ দিনে পড়ল আমেরিকার শাটডাউন। ১৯৯৫-৯৬ সালে বিল ক্লিনটনের সময় টানা ২১দিন শাটডাউন চলে। আজ তা ছাপিয়ে নজির সৃষ্টি করল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে, এই নজির যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলার ‘কাঁটা’, তা তিনি ভালভাবেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু নিজের কঠোর অবস্থান থেকে এক চুলও সরতে নারাজ ট্রাম্প। মেক্সিকো প্রাচীর তৈরির জন্য ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ না হলে জরুরি অবস্থার পথেও হাঁটতে পারেন বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন- সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের করা হল খাঁচাবন্দি, দেখুন ভিডিয়ো

বৃহস্পতিবার টেক্সাসে গিয়ে মার্কিন সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রুখতে আরও বেশি জায়গা জুড়ে দেওয়াল তৈরি প্রয়োজন। শরণার্থীদের অনুপ্রবেশে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু মেক্সিকো প্রাচীর তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দে সায় নেই ডেমোক্র্যাটদের।

আরও পড়ুন- ভারতের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান এদেশের টিভি চ্যানেল চলতে দেব না, জানিয়ে দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট

এ দিকে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে নেমেছেন সরকারি কর্মচারিরা। প্রায় ৮ লক্ষ কর্মচারি ছুটিতে রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আর ছুটি নয়, এবার বেতন চাই। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি কর্মচারিদের ভবিষ্যতের বিষয়ে আমল দিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বড় পদক্ষেপ করার পথে ভাবনা চিন্তা করছেন। যদি জরুরি অবস্থার পথে হাঁটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা হলে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও একাংশের দাবি, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শেষমেশ গড়াতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, শাটডাউনের জেরে বাইরে-অন্দরে যথেষ্ট চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ভাবে বেশ কিছু দিন চললে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য। তার আগে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ডেমোক্র্যাটদের চাপে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প।

.