Russia-Ukriane War: 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একমাত্র ইনিই পারেন'! কার সম্বন্ধে এ কথা বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?
Russia-Ukriane War: 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একমাত্র ইনিই পারেন'! কার সম্বন্ধে এ কথা বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই প্রসঙ্গে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একমাত্র ইনিই পারেন'! কার সম্বন্ধে এ কথা বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই প্রসঙ্গে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করল। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বিবাদ মেটাতে প্রকারান্তরে ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানালেন হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে রাজি করাতে পারেন একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!
এক বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। তারপর গত এক বছর ধরে দুতরফে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রক্তপাত, ধ্বংস, মৃত্যু, ইউক্রেন-ভূখণ্ডে রাশিয়ার জবরদখল, অত্যাচার, অনাচার ইত্যাদি ঘটেছে। একাধিকবার দুদেশের প্রতিনিধিরা আলোচনার টেবিলে বসলেও কোনও মীমাংসাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। যুদ্ধ চলেছে যুদ্ধের মতোই। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারত এবং নরেন্দ্র মোদীর কথা বলা হল। কিরবি বলেছেন-- ইউক্রেনের বাসিন্দারা যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য একজনই দায়ী। তিনি ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন চাইলে এখনই যুদ্ধ বন্ধ করতে করতে পারেন।
অবশ্য ভারত বা মোদী যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদাসীন থেকেছে, তা মোটেই নয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: Solar Polar Vortex: ভেঙে গিয়েছে সূর্য; মহাকাশে মহাবিপর্যয়! কতদিন টিকবে এই পৃথিবী?
হোয়াইট হাউসের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা করতে পারবেন কি না! উত্তরে তিনি বলেন-- আমার মনে হয় যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনের কাছে এখনও সময় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজি করাতেই পারেন তাঁকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার শত্রুতায় দাঁড়ি টানতে যে তরফে যে প্রচেষ্টাই করা হোক না কেন, আমেরিকা তাকে স্বাগত জানাবে।
কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো ব্রিটেন সফরে এসেছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভিড়ে ঠাসা ওয়েস্টমিনস্টার হলে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতাও দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বলে গিয়েছেন-- স্বাধীনতার জয় হবে। তিনি নিশ্চিত, রাশিয়াকে হারতেই হবে! তাঁর দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও বিদেশ সফরে গেলেন জেলেনস্কি। এর আগে, গত বছরে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, বৈঠকও করেছিলেন। ব্রিটেনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান চেয়েছে ইউক্রেন। জেলেনস্কির সফরের মাঝেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে বেশ কিছু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন সরকার। ব্রিটেনে প্রশিক্ষণরত ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন জেলেনস্কি। বাকিংহাম প্রাসাদে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও দেখা করেন। ইউক্রেনের প্রতি টানা সমর্থন জানিয়ে আসায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
কিন্তু কেন হঠাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোদীর মধ্যস্থতার কথা বলল?
কদিন আগেই আসলে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলা এই বৈঠকের সাপেক্ষেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদক্ষেপ করার কথা বলেন জন কিরবি।