কুলটিতে একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টা

তীব্র আর্থিক অনটনে কুলটিতে একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টা। মা ও মেয়ের মৃত্যু হলেও  আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছেলে। পুলিসের অনুমান মা ও বোনকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশ দিয়ে মেরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছেলে।

Updated By: Nov 5, 2016, 07:33 PM IST
কুলটিতে একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টা

ওয়েব ডেস্ক: তীব্র আর্থিক অনটনে কুলটিতে একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টা। মা ও মেয়ের মৃত্যু হলেও  আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছেলে। পুলিসের অনুমান মা ও বোনকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশ দিয়ে মেরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছেলে।

আত্মীয়রা যোগাযোগ রাখেন না। বিপদের সময় কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। পাড়াপড়শিরাও খোঁজ নিতেন না ভাতের হাড়ি চড়েছে কি না। সবাই মুখ ফিরিয়েছে। তবু সুইসাইড নোটে লেখা আছে, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সকালে বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার হল পয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধা আলো ঠাকুর ও তাঁর মেয়ে কৃতাঞ্জলি ঠাকুরের মৃতদেহ। মৃত প্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আলো ঠাকুরের  ছেলে ময়ূরেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।

আরও পড়ুন- এবার এক মহিলাকে যা করল এক তৃণমূল কাউন্সিলর!

আগে কলকাতায় থাকতেন। ক্যান্সারে বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও বোনকে নিয়ে কুলটিতে চলে আসেন ময়ুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বছর সাতেক ধরে এই বাড়িতেই ভাড়া ছিলেন। ময়ুরেন্দ্রনাথ  রানীগঞ্জে একটি প্যাথোলজি সেন্টারে কাজ করতেন।  কিন্তু সেই উপার্জনে বাড়ি ভাড়া দিয়ে তিন জনের সংসার টানা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবে প্যাথোলজি সেন্টারে কাজের দৌলতে জানা ছিল ইনসুলিনের ভয়াবহ ক্ষমতার কথা। পুলিসের অনুমান, মা ও বোনকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দিয়ে মারার পর নিজেও ইনসুলি ইঞ্জেকশন নেন ময়ুরেন্দ্রনাথ। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু না হওয়া গলায় দড়ি দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়নি তাঁর। মৃতপ্রায় অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- গোটা রাজ্যের আবহাওয়ার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, জানুন

তীব্র অনটন থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যার এই পথ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সুইসাইড নোটের রয়েছে সেরকমই ইঙ্গিত। মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করা হলেও ময়ুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন কৃতাঞ্জলি ঠাকুর তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়াল না।

.