শেষকৃত্য সম্পন্ন কিষেণজির

নিজের গ্রাম পেড্ডাপল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেণজির। অন্ধ্রের করিমনগরে শনিবার রাতেই পৌঁছয় মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃতদেহ। রাতেই পেড্ডাপল্লিতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।

Updated By: Nov 26, 2011, 09:51 AM IST

নিজের গ্রাম পেড্ডাপল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেণজির। অন্ধ্রের করিমনগরে শনিবার রাতেই পৌঁছয় মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃতদেহ। রাতেই পেড্ডাপল্লিতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। কড়া পুলিসি প্রহরায় করিমনগরে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।  কিষেণজির শেষকৃত্য উপলক্ষে প্রায় হাজার দশেক মানুষ জড়ো হন তাঁর গ্রামে। শ্রদ্ধা জানান বিপ্লবী কবি গদর, অন্ধ্রের বিশিষ্ট কবি ভারাভারা রাও এবং অন্যান্য বামপন্থী নেতারা। রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে শেষযাত্রায় সামিল হন অসংখ্য মানুষ। মেদিনীপুরে ময়নাতদন্তের পর কলকাতা হয়ে শনিবার রাতেই হায়দ্রাবাদ পৌঁছেছিল মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির দেহ। গভীর রাতেই গ্রামের বাড়ি পেড্ডাপল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। প্রায় তেইশ বছর পর শিবালয়ম স্ট্রিটের বাড়িতে কফিন বন্দী হয়েই ফিরলেন ছোট ছেলে মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
 

রবিবার সকালে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয় কিষেণজির মৃতদেহ। অশক্ত শরীরেও ছেলের মৃতদেহের সামনে শেষবারের মতো এসে দাঁড়ান কিষেণজির মা। মাওবাদী শীর্ষনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান  বিপ্লবী কবি গদর, অন্ধ্রের বিশিষ্ট কবি ভারাভারা রাও এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিষেণজির মৃত্যুর পর এখন সারা দেশে পরিচিত পেড্ডাপল্লী। গ্রামের প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ শেষকৃত্যে অংশ নেন। শেষকৃত্য ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক ছিল পুলিস ও প্রশাসন।
 

দুপুরের পর দেহ নিয়ে শুরু হয় শেষযাত্রা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। বিকেল চারটেয় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়  মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও-এর। 
 

.