আজ বাঙালির অহংকারের দিন
বাঙালি হিসাবে আজ সত্যিই গর্বের দিন। আর তার সঙ্গে দুঃখেরও। আজ, ১লা জুলাই তাই প্রকৃত অর্থে বাঙালির অহংকারের মূহূর্ত যাতে লেগে আছে খানিকটা বিষাদের সুরও।
নির্ণয় ভট্টাচার্য্য: বাঙালি হিসাবে আজ সত্যিই গর্বের দিন। আর তার সঙ্গে দুঃখেরও। আজ, ১লা জুলাই তাই প্রকৃত অর্থে বাঙালির অহংকারের মূহূর্ত যাতে লেগে আছে খানিকটা বিষাদের সুরও।
আজ ডাঃ রয়ের জন্মদিন। কিন্তু, পুরোটা বলা হল না, ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন দু’টিই আজ। বিষাদের অণুষঙ্গটা ওই কারণেই। আসুন ডাঃ রায়ের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কয়েকটা তথ্য যা আমাদের বাঙালি হিসাবে চূড়ান্ত গর্বের-
১) আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন, তাই তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের দিনটাই সারা দেশে জাতীয় চিকিত্সক দিবস রূপে পালিত হয়।
২) ডাঃ রায়, সেই বিরল প্রতিভা যিনি ডাক্তার হিসাবে এফ.আর.সি.এস এবং এম.আর.সি.পি-এই দু’টি ডিগ্রীই অর্জন করেছিলেন মাত্র দুই বছর তিন মাস সময়কালের মধ্যেই।
৩) ১৯৬১ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ডাঃ রায়কে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-দ্বারা সম্মানিত করা হয়।
৪) বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করে তিনি ম্যাট্রিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেন পাটনাতেই। তারপর, আই.এ পড়তে আসেন কলকাতার প্রেসিজেন্সি কলেজে। এরপর অঙ্কে অনার্স নিয়ে বি.এ. পাশ করেন পাটনা কলেজ থেকে।
৫) তিনি উচ্চ-শিক্ষার জন্য একই সঙ্গে শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আবেদন করেন। দু’জায়গাতেই তিনি সুযোগ পান উচ্চশিক্ষার জন্য। বলার অপেক্ষা রাখে না যে তিনি ডাক্তারি পড়াশোনাতেই নিয়োজিত হয়েছিলেন।
৬) ১৯২৫ সালে রাজনীতিতে এসে, ডাঃ রায় ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের’ নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন এবং ‘গ্রান্ড ওল্ড ম্যান অফ বেঙ্গল’, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীকে পরাজিত করেন।
৭) পশ্চিম বাংলার রূপকার ডাঃ রায় পাঁচটি শহরকে রূপদান করেন। সেগুলি হল, দুর্গাপুর, কল্যাণী, বিধাননগর, অশোকনগর এবং হাবড়া।