বোটানিক্যালের জলাশয়ে মাছের মড়ক

দু`বছর আগে মাছের মড়ক লেগেছিল বোটানিক্যাল গার্ডেনের জলাশয়ে। এরপর অনেক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও যে কোনও ব্যবস্থাই যে নেয়নি কর্তৃপক্ষ, তার প্রমাণ মিলল আজ। গার্ডেনের আরও একটি জলাশয়ে মাছের মড়ক। যদিও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করলেন  গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। গার্ডেনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে একগুচ্ছ মামলা চলছে হাইকোর্টে। জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।

Updated By: Mar 29, 2013, 06:58 PM IST

দু`বছর আগে মাছের মড়ক লেগেছিল বোটানিক্যাল গার্ডেনের জলাশয়ে। এরপর অনেক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও যে কোনও ব্যবস্থাই যে নেয়নি কর্তৃপক্ষ, তার প্রমাণ মিলল আজ। গার্ডেনের আরও একটি জলাশয়ে মাছের মড়ক। যদিও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করলেন  গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। গার্ডেনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে একগুচ্ছ মামলা চলছে হাইকোর্টে। জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।
বোর্টানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যে ছডিয়ে-ছিটিয়ে থাকা ২৫টি জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। শুক্রবার তেমনই একটি জলাশয়ে দেখা গেল মাছের মড়ক। সকালে বিষয়টি প্রাতঃভ্রমণকারীদের নজরে আসার পর খবর যায় গার্ডেন কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযোগ, জলদূষণের কারণ অনুসন্ধান না করেই জলাশয় পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়।  
২০১০ সালেও একই ভাবে মাছের মড়ক দেখা গিয়েছিল গার্ডেনের অন্য একটি জলাশয়ে। তখন জলাশয়গুলির সঙ্গে গঙ্গার সংযোগকারী স্লুইস গেটগুলি নিয়মিত পরিষ্কারের দাবি উঠেছিল। অভিযোগ, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বোর্টানিক্যাল গার্ডেনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির বিষয়টিও আদালতকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
 
যদিও এদিনের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। দূষিত জলে জলজ উদ্ভিদের পচনের জেরে বিষক্রিয়াই মাছের মড়কের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
 

.