পথে-প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা

ভোটের আর ক'দিন মাত্র বাকি। প্রচারে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেই লক্ষ্যে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন সবাই। পথে-প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রচার পর্বের শুরুতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ন্যানোতে। তবে তাঁর ভরসা পায়ে হেঁটে প্রচারই। শুক্রবারও সকাল থেকে সেই ফর্মে সিঙ্গুরের সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব। বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। মন দিয়ে শোনেন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ।

Updated By: Mar 25, 2016, 08:53 PM IST
পথে-প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা

ওয়েব ডেস্ক: ভোটের আর ক'দিন মাত্র বাকি। প্রচারে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেই লক্ষ্যে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন সবাই। পথে-প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রচার পর্বের শুরুতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ন্যানোতে। তবে তাঁর ভরসা পায়ে হেঁটে প্রচারই। শুক্রবারও সকাল থেকে সেই ফর্মে সিঙ্গুরের সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব। বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। মন দিয়ে শোনেন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ।

২০১১য়ে তিনি ছিলেন জায়েন্ট কিলার। গত বিধানসভা নির্বাচনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে জিতে তাক লাগিয়ে দেন তৃণমূলের মণীশ গুপ্ত। এবার সেই যাদবপুর কেন্দ্রেই বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রেস্টিজ ফাইট তাঁর। সকাল-বিকেল প্রচারে ব্যস্ত রাজ্যের বিদ্যুত্‍ মন্ত্রী।

গতবার বিধানসভা ভোটে পদ্মশিবিরে তিনি ছিলেন, একা কুম্ভ। বিধানসভায় বিজেপির একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। এবারও তাঁর লড়াই বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। প্রচারে বেরিয়ে চষে ফেলছেন নিজের বিধানসভা এলাকা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে প্রচার।

একসময়ের বামদুর্গ বরানগরে ২০১১-এ প্রথম ঘাসফুল ফোটান তাপস রায়। এবার জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই টার্গেট, তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর।

রোজকার রুটিন এখন, ২০ মিনিট বাদে বাদে ডাবের জল। পরণে শাড়ি-মাথায় ঘোমটা, চোখে সানগ্লাস, পায়ে স্নিকার। ভোটযুদ্ধের ময়দানে হাজির, নদিয়ার করিমপুরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তাঁর টার্গেট, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ২৬০টি বুথ এলাকা চষে ফেলা। প্রতিদিন তাই সকাল থেকে পথে বেরিয়ে পড়ছেন প্রার্থী। 

জেলায় জেলায় জমজমাট প্রচার অভিযান। একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার লড়াইয়ে, প্রচারের নিত্যনতুন ফর্মূলা খুঁজতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। শাসকই হোক বা বিরোধী, অভিনব প্রচারে ভোটারদের চোখ টানতে ব্যস্ত সব পক্ষ। বেলুড় ঘাট থেকে শুরু করে, ২০টি নৌকোতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এদিন প্রচার করলেন বালির তৃণমূল প্রার্থী।  

প্রচারের আগে ছিল প্রার্থনার ব্যবস্থা। দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরেও পুজো দেন বৈশালি। পুরুলিয়ার আদি-অকৃত্রিম ছৌ নাচকে ভোট ময়দানে নিয়ে এলেন তৃণমূল প্রার্থী রানি টুডু। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে বৈঠক। প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ শ্রীরামপুরের কংগ্রেস প্রার্থী শুভঙ্কর সরকার। শুধু মন্দির নয়, বরা মসজিদেও প্রার্থনা করেন প্রার্থী। ঘাস-ফুলের কাট-আউটের ছড়াছড়ি। এর-ওর হাতে তৃণমূলের তেরঙ্গা বেলুন। আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রচারেও ধরা পড়েছে অভিনবত্বের ছোয়া। বাজনার তালে তালে বিজেপি প্রার্থী প্রচার করলেন বাঁকুড়ায়। ওন্দার বিজেপি প্রার্থী এমর নাথ শাখার সমর্থনে বের হয় এই মহামিছিল।

.