দক্ষিণে বানভাসি, উত্তরে ক্ষরা! আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি মাত্র ২০০ মিলিমিটার

গভীর নিম্নচাপ, লাগাতার বৃষ্টি। তার ওপর কোমেন। ভাসছে দক্ষিণের অধিকাংশ জেলা। কিন্তু, গত দেড় সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি কোথায় আলিপুরদুয়ার আর জলপাইগুড়িতে? আর এতেই ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে চাষ-আবাদের। আগামী দু সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি না হলে খরা ঘোষণা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।

Updated By: Jul 31, 2015, 10:11 PM IST
দক্ষিণে বানভাসি, উত্তরে ক্ষরা! আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি মাত্র ২০০ মিলিমিটার

ব্যুরো: গভীর নিম্নচাপ, লাগাতার বৃষ্টি। তার ওপর কোমেন। ভাসছে দক্ষিণের অধিকাংশ জেলা। কিন্তু, গত দেড় সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি কোথায় আলিপুরদুয়ার আর জলপাইগুড়িতে? আর এতেই ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে চাষ-আবাদের। আগামী দু সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি না হলে খরা ঘোষণা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।

জুলাই মাস। ভরা বর্ষা। অন্য বছর এই সময়ে সাতশো থেকে আটশো মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে যায় জলপাইগুড়ি আর আলিপুরদুয়ারে। আর তাতেই চাষ হয় আমন ধানের। পচানো হয় পাট। কিন্তু, এবছর ছবিটা একদম আলাদা। গোটা জুলাই মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২০০ মিলিমিটার। ফলে ঘাটতি প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার। ফলে জমিতে রোয়া যায়নি আমন ধানের চারা। জলের অভাবে পচানো যাচ্ছে না পাটও।

জলপাইগুড়িতে ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। তার মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ জমিতে চারা রোয়া গিছে। আলিপুরদুয়ারের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ জমিতে আমনের চারা পোরন করা গিয়েছে। পাটচাষেও একই ছবি। জলপাইগুড়িতে ৬০ শতাংশ জমির পাট তোলা যায়নি। আলিপুরদুয়ারে সেই পরিমাণটা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে আগামী দু সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি না হলে খরা ঘোষণা করার পথে হাঁটতে পারে জেলা কৃষি দফতর।

.