এফআইআর করতে গিয়ে থানায় চূড়ান্ত হেনস্থার অভিযোগ

FIR করতে গিয়ে থানায় চূড়ান্ত হেনস্থার অভিযোগ। কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিস কনস্টেবলের ছেলে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির এই খবর চব্বিশ ঘণ্টায় দেখানোর পরই সাবধানী পুলিস। তাদের দাবি , মৌখিক বয়ানের ভিত্তিতে আগেই অভিযোগ দায়ের হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন, তাহলে কেন এ-থানায়, ও- থানায় ছুটতে হল মহিলাকে?

Updated By: Nov 26, 2015, 10:01 PM IST
এফআইআর করতে গিয়ে থানায় চূড়ান্ত হেনস্থার অভিযোগ

ওয়েব ডেস্ক: FIR করতে গিয়ে থানায় চূড়ান্ত হেনস্থার অভিযোগ। কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিস কনস্টেবলের ছেলে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির এই খবর চব্বিশ ঘণ্টায় দেখানোর পরই সাবধানী পুলিস। তাদের দাবি , মৌখিক বয়ানের ভিত্তিতে আগেই অভিযোগ দায়ের হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন, তাহলে কেন এ-থানায়, ও- থানায় ছুটতে হল মহিলাকে?
ভাসুরের ছেলের হাতেই দিনের পর দিন মারধর । ভাসুর আবার যে সে কেউ নন। পেশায় পুলিস কনস্টেবল। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এ সাধ্য কার!
গঙ্গাজলঘাটির ইটাডাঙার বাসিন্দা এই মহিলাকে তাই দিনের পর দিন সহ্য করে যেতে হয়েছে সব অত্যাচার। মুখে বুজে। বাড়িতে নাবালক ছেলে। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন।  
কিন্তু আর পারছিলেন না। তাই অভিযোগ দায়ের করতে ভাইকে সঙ্গে নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন থানায়।
কিন্তু সেখানে অপেক্ষা করছিল আরেক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। নিগৃহীতার অভিযোগ, গঙ্গাজলঘাটি থানা অভিযোগ নিতেই চায়নি।
অজুহাত ছিল, ঘটনার কোনও সাক্ষী নেই। বাঁকুড়া মহিলা থানাতেও যান তিনি। সেখানে শুনতে হয়, অভিযুক্ত পুরুষ হওয়ায় অভিযোগ নেওয়া যাবে না। বাঁকুড়া সদর থানাতেও ছুটে যান তিনি।
এবার পুলিসের যুক্তি, ওই এলাকা তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না। পুলিস এমন অমানবিক হতে পারে! প্রশ্ন মহিলার ভাইয়েরও।
যদিও পরে গঙ্গাজলঘাঁটি থানা দাবি করে, মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তারা অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রশ্ন উঠছে, চাপে পড়েই কি শেষপর্যন্ত ব্যবস্থা? 

.