তন্তুজের ঈর্ষনীয় সাফল্য

ধুঁকতে থাকা সংস্থা থেকে লাভজনক উদ্যোগ। বিপণনে অভাবনীয় নজির স্থাপন করায় তন্তুজকে পুরস্কৃত করছে কেন্দ্র। সাতই অগাস্ট দিল্লিতে পুরস্কৃত হবে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই সংস্থা।  

Updated By: Aug 1, 2016, 06:18 PM IST
তন্তুজের ঈর্ষনীয় সাফল্য

ওয়েব ডেস্ক: ধুঁকতে থাকা সংস্থা থেকে লাভজনক উদ্যোগ। বিপণনে অভাবনীয় নজির স্থাপন করায় তন্তুজকে পুরস্কৃত করছে কেন্দ্র। সাতই অগাস্ট দিল্লিতে পুরস্কৃত হবে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই সংস্থা।  

ছাইয়ের গাদা থেকে ফিনিক্স পাখীর উড়ান। তন্তুজের সাফল্যের কাহিনী কোনও রূপকথার থেকে কম নয়। প্রথম পঁচিশ বছর ধুঁকতে ধুঁকতে পথ চলা। পালাবদলের পর প্রথম লাভের মুখ। তারপর থেকে শুধুই সাফল্য।

২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে তন্তুজের লাভের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা লাভ করে তন্তুজ। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা লাভ করেছে তন্তুজ। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তন্তুজের মোট আয় ১২৩ কোটি টাকা

রেল চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা

ডুবতে বসা সংস্থার চোখ ধাঁধানো সাফল্য। রসায়নটা কী? কোন পরিকাঠামোয় চলে রাজ্যের এই সংস্থা।
প্রাইমারি উইভার কোঅপারেটিভ স্যোসাইটির মাধ্যমে কাজ করে তন্তুজ। তন্তুজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের ৭ হাজার তাঁতশিল্পী। তন্তুজের বেতনভুক কর্মীর সংখ্যা ৩৭৬। দেশজুড়ে ৮৪ টি বিপণন কেন্দ্র/দোকান রয়েছে তন্তুজের। পশ্চিমবঙ্গে তন্তুজের বিপণন কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭ টি।

এই পরিকাঠামো আগেই ছিল। বর্তমান সরকারে আমলে শুধু সমন্বয়টি জোরদার করা হয়েছে। তবে আসল সাফল্য অনলাইন মার্কেটিংয়ে। এর বাইরেও শিল্পীদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো, বিপণন কেন্দ্রকে ঝাঁ চকচকে করা, নকশার উত্‍কর্ষ বাড়ানো, সেলস স্ট্র্যাটেজি বদলেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে সব বিভাগ আদানুন খেয়ে উদ্যোগ নিতেই ঈর্ষনীয় সাফল্য।

.