খোঁড়া বাদশার ২ সহযোগী ধৃত
বিষমদ কাণ্ডে অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশার মূল সহযোগী আবু বক্কর সহ চারজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে খোঁড়া বাদশার স্ত্রী নুরজাহানও রয়েছে। গতকাল ক্যানিংয়ের বিদ্যাধরী কলোনী থেকে সিআইডি তাদের গ্রেফতার করে।
বিষমদ কাণ্ডে অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশার মূল সহযোগী আবু বক্কর সহ চারজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে খোঁড়া বাদশার স্ত্রী নুরজাহানও রয়েছে। গতকাল ক্যানিংয়ের বিদ্যাধরী কলোনী থেকে সিআইডি তাদের গ্রেফতার করে। রাতেই ধৃতদের ভবানী ভবনে আনা হয়। আজ ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চোদ্দ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা এখনও ফেরার।
সংগ্রামপুরের বিষমদ কাণ্ডে ১৭৩ জনের মৃত্যুর পর থেকেই খোঁড়া বাদশা এবং তার সহযোগীদের খুঁজছিল পুলিস। শম্ভু পাত্র নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে চোলাইয়ের কারবারে পয়সা ঢালত সেলিম। আর তার এই বিশাল কারবার সামলাত খোঁড়া বাদশা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে খোঁড়া বাদশাকে সাহায্য করত আবু বক্কর। বক্করের নিজস্ব ভাটি তো ছিলই, তাছাড়াও খোঁড়া বাদশার ঠেকগুলো থেকে চোলাই সংগ্রহ করত সে। এরপর সেই চোলাই চলে যেত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘুরপথে তা পৌঁছে যেত কলকাতার কিছু জায়গাতেও। খোঁড়া বাদশার হয়ে এসবই সামলাত বক্কর। বক্করের ভাই ছোটু এবং শম্ভু পাত্রর ওপর দাযিত্ব ছিল টাকা আদায়ের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে খোঁড়া বাদশার দুই বউয়ের মধ্যে প্রবল রেষারেষি ছিল। তদন্তে পুলিস জেনেছে চোলাই তৈরির সময় তাতে বেশি পরিমাণে মিথাইল অ্যালকোহল মিশে যাওয়াতেই এতজনের মৃত্যু হয়েছে মগরাহাটে। খোঁড়া বাদশার এক বউ অন্যজনকে ফাঁসাতে গিয়ে একাজ করেছে না ব্যবসায়িকভাবে সাহায্য করতে গিযেই বেশি পরিমাণে মিথাইল অ্যালকোহল মিশে গেছে চোলাইয়ে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা এখনও ফেরার। সুন্দরবন হয়ে খোঁড়া বাদশার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। ধৃতেরাও সুন্দরবনের দিকে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে পুলিসের অনুমান। এদের জেরা করে খোঁড়া বাদশা কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। ঘটনার দিনই এক সঙ্গীর বাইকে চেপে খোঁড়া বাদশা গা-ঢাকা দেয়। ফলে খোঁড়া বাদশা কোথায় রয়েছে, তা ধৃতেরা কতটা জানে সে সম্পর্কে সন্দিহান গোয়েন্দারা।