১ জানুয়ারি থেকেই 'বিড়ম্বনা'য় মুখ্যমন্ত্রী, নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় পাশাপাশি মমতা-মদন

সারদা কেলেঙ্কারির আঁচটা ছিল ২০১৪ থেকেই। প্রথমে জেল, তারপর বেল ফের জেল, ২০১৫ বর্ষে রাজ্য রাজনীতিতে সারা ফেলে দিয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের এই টানপোড়েনের ঘটনা। সারদা মামালায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা সম্ভব দূরত্ব তৈরি করেছেন এক সময়ের তৃণমূলের শ্রেষ্ঠ 'সেনা'নীর সঙ্গে। মাঝে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় এমনও বলেন, 'ব্যক্তি চোর, দল চোর নয়'। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন দলনেত্রী নাম না করে মদন মিত্রকেই বার্তা দিয়েছেন। দূরত্ব আরও একটু বেড়ে যায়, যখন মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের টানা-পোড়েনটা কমে গিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। মুকুল রায়ের দলে ফেরা নিয়ে জেল বন্দী মদন 'শ্লেষে' বলেন, "আমাকে কি ছাগল মনে হয়?" তবে পরমুহূর্তেই দলনেত্রীর জয়গানও শোনা যায় তাঁর মুখে। নেত্রী দূরত্ব বাড়িয়েছেন বটে, কিন্তু মদন অনুগামীরা কিন্তু এখনও 'দাদা ও দিদি'র সম্পর্ক নিয়ে বেশ আশাবাদী। আর তারই ঝলক গোটা দক্ষিণেশ্বর জুড়ে। বড় বড় পোষ্টার হোর্ডিংয়ে 'মেরী খ্রীষ্টমাস' ও ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিধায়ক মদন মিত্র। আর পাশেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এই ছবি বিরলতম, কারণ সর্বপরি শেষ বছরে এমন ছবি বিশেষ চোখে পড়েনি। প্রথমে মদনের পাশে আছে দল, এই বার্তা দিতে গিয়েও পিছিয়ে এসছে দল। সামনেই ভোট, তাহলে কি মদন মিত্রের সঙ্গে দূরত্ব কমছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, না এ কেবলই অনুগামীদের আকাঙ্ক্ষা? উত্তরটা সময়ই বলবে।

Updated By: Jan 1, 2016, 05:19 PM IST
১ জানুয়ারি থেকেই 'বিড়ম্বনা'য় মুখ্যমন্ত্রী, নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় পাশাপাশি মমতা-মদন

ওয়েব ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারির আঁচটা ছিল ২০১৪ থেকেই। প্রথমে জেল, তারপর বেল ফের জেল, ২০১৫ বর্ষে রাজ্য রাজনীতিতে সারা ফেলে দিয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের এই টানপোড়েনের ঘটনা। সারদা মামালায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা সম্ভব দূরত্ব তৈরি করেছেন এক সময়ের তৃণমূলের শ্রেষ্ঠ 'সেনা'নীর সঙ্গে। মাঝে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় এমনও বলেন, 'ব্যক্তি চোর, দল চোর নয়'। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন দলনেত্রী নাম না করে মদন মিত্রকেই বার্তা দিয়েছেন। দূরত্ব আরও একটু বেড়ে যায়, যখন মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের টানা-পোড়েনটা কমে গিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। মুকুল রায়ের দলে ফেরা নিয়ে জেল বন্দী মদন 'শ্লেষে' বলেন, "আমাকে কি ছাগল মনে হয়?" তবে পরমুহূর্তেই দলনেত্রীর জয়গানও শোনা যায় তাঁর মুখে। নেত্রী দূরত্ব বাড়িয়েছেন বটে, কিন্তু মদন অনুগামীরা কিন্তু এখনও 'দাদা ও দিদি'র সম্পর্ক নিয়ে বেশ আশাবাদী। আর তারই ঝলক গোটা দক্ষিণেশ্বর জুড়ে। বড় বড় পোষ্টার হোর্ডিংয়ে 'মেরী খ্রীষ্টমাস' ও ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিধায়ক মদন মিত্র। আর পাশেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এই ছবি বিরলতম, কারণ সর্বপরি শেষ বছরে এমন ছবি বিশেষ চোখে পড়েনি। প্রথমে মদনের পাশে আছে দল, এই বার্তা দিতে গিয়েও পিছিয়ে এসছে দল। সামনেই ভোট, তাহলে কি মদন মিত্রের সঙ্গে দূরত্ব কমছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, না এ কেবলই অনুগামীদের আকাঙ্ক্ষা? উত্তরটা সময়ই বলবে।

.