অভাবের তাড়নায় ৩ কন্যা সন্তানকে বিক্রি করলেন মা
সামান্য অর্থের বিনিময়ে নিজের ৩ কন্যা সন্তানকে বিক্রি করেদিলেন মা। দঃ ২৪ পরগণা জেলার নেতড়ার ঘটনা। অভাবের তাড়নায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মা পূর্ণিমা হালদার।
সামান্য অর্থের বিনিময়ে নিজের ৩ কন্যা সন্তানকে বিক্রি করেদিলেন মা। দঃ ২৪ পরগণা জেলার নেতড়ার ঘটনা। অভাবের তাড়নায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মা পূর্ণিমা হালদার।
ঘটনাটি গত ২৪শে আগস্টের হলেও শনিবার তা প্রকাশ্যে আসে। মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে ৩মেয়েকে নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেই বাড়ি ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছিলেন পূর্ণিমা দেবী। ঠাঁই নিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবার স্টেশন চত্বরে। সেই সূত্রে তাঁর আলাপ হয় বেশ কিছু লোকের সঙ্গে। প্রতাপ নমে এক ব্যাক্তির সূত্রে অবশেষে ২৪ তারিখ ডায়মন্ডহারবার কোর্টের কাছে লটারি করে বিক্রি করে দেন ৩ মেয়েকে। একজনকে বিক্রি করা হয় ১০০ টাকায়। বাকি ২জনের এক জনকে মাত্র ৩০ টাকা, অন্য জনকে ২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।
ঘটনাটি বেশ কিছুদিন ধামাচাপা থাকলেও শনিবার সংবাদ মাধ্যমের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিসি তৎপরতায় সনাক্ত হন পূর্ণিমা দেবী। তিনি জানান ৩ মেয়েকে খেতে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই অতি সামান্য টাকার বিনিময়ে বেচে দিয়েছেন মেয়েদের। তিনি জানিয়েছেন, পরপর ৩টি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার `অপরাধে` তাঁর উপর বাড়ছিল স্বামীর অত্যাচার। জার জেরেই বাধ্য হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পূর্ণিমা হালদার।
এখনও পর্যন্ত পুলিস বিক্রি হয়ে যাওয়া ৩ জনের মধ্যে উদ্ধার করতে পেরেছে ১জনকে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আপাতত মেয়েটির দায়িত্ব নিয়েছে। পরে তাকে সরকারী হোমে পাঠানো হবে বলে সরকারী প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের `পরিবর্তনের` সরকার যখন এক বছরে দশ বছরের কাজ শেষ করে ফেলার দাবি করছেন, দাবি করছেন এক বছরেই নাকি উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে এ রাজ্য, তখন এই ঘটনা এই সব দাবীকেই এক বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলে দিল ।